প্রিন্সেস কেট: প্রকৃতির মাঝে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব
ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পথে, ওয়েলসের প্রিন্সেস কেট প্রকৃতিতে সময় কাটানোর গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন। সম্প্রতি, তিনি লেক জেলার (যুক্তরাজ্য) স্কাউটদের সঙ্গে একটি দিনের জন্য মিলিত হন।
সেখানে তিনি প্রকৃতির সান্নিধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং কীভাবে এটি তাঁকে আরোগ্য লাভের পথে সাহায্য করেছে, তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
প্রিন্সেস কেটের এই উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতি ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যেকার সম্পর্ক তুলে ধরা। স্কাউটদের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি জানান, আরোগ্য লাভের সময় তিনি প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটিয়েছেন, যা তাঁকে মানসিক শান্তি এনে দিয়েছে।
প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে সময় কাটানো যে কারো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, সে বিষয়ে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন।
এই সফরে প্রিন্সেস কেটের সঙ্গে ছিলেন ইউকে-র প্রধান স্কাউট ডোয়াইন ফিল্ডস। তিনি জানান, প্রিন্সেস কেট খুব সহজেই সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারেন এবং তাঁর আন্তরিকতা সকলের মন জয় করে নেয়।
এমনকি, স্কাউটদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি নিজের ব্যক্তিগত আরোগ্য লাভের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। ফিল্ডস আরও বলেন, “যখন কেউ তাদের আরোগ্যের পথে হাঁটা পথের কথা বলেন, তখন আপনিও সেই গল্পের অংশ হয়ে যান।
প্রিন্সেস কেট বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, কীভাবে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৭৮ শতাংশ তরুণ-তরুণী প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি অনুভব করে। তিনি মনে করেন, প্রকৃতিতে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
প্রিন্সেস কেটের এই সফর প্রমাণ করে, প্রকৃতির সান্নিধ্য আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং স্কাউটদের সঙ্গে কাটানো সময়ের মাধ্যমে সকলের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন।
তথ্যসূত্র: পিপল