শিরোনাম: জন্মদিনের আনন্দ: আমেরিকার শিক্ষিকার মানবিক প্রচেষ্টা, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি
ছোট্টবেলার কথা মনে করে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষিকা ডন টিকারিচ (মিস টি) যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ রাজ্যে তার ছাত্রদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। জন্মদিনের আনন্দে শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোই তার লক্ষ্য।
মিস টি’র এই মানবিক প্রয়াস সেখানকার বিদ্যালয়ে বেশ সাড়া ফেলেছে।
মিস টি’র নিজের শৈশব কেটেছে অভাবের মধ্যে। তিনি দেখেছেন, জন্মদিন মানেই পরিবারের জন্য বাড়তি খরচ, যা অনেক সময় তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াত।
তাই শিক্ষকতা পেশায় আসার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তার ছাত্রছাত্রীদের জন্মদিন বিশেষভাবে উদযাপন করবেন। জন্মদিনের দিনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য উপহারসামগ্রী সহ একটি বিশেষ ঝুড়ি তৈরি করেন তিনি।
এই ঝুড়িতে থাকে প্রয়োজনীয় জিনিস, যা শিশুদের জন্য আনন্দ বয়ে আনে।
মিস টি জানিয়েছেন, “আমি দেখেছি, বিদ্যালয়ে এমন অনেক শিশু আছে, যাদের হয়তো জন্মদিনের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ হয় না। তাদের জন্য বিশেষ কিছু করার চেষ্টা করি।” তিনি আরও যোগ করেন, “ছোট্ট উপহার হয়তো তাদের জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলে।”
শুধু জন্মদিন উদযাপনই নয়, মিস টি’র বিদ্যালয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি ‘আশীর্বাদপূর্ণ আলমারি’ও রয়েছে।
এই আলমারিতে কাপড়, জুতো, স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী এবং খাবারের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস থাকে। কোনো শিক্ষার্থী বা তাদের পরিবারের প্রয়োজন হলে, তারা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই এখান থেকে জিনিস নিতে পারে।
এই উদ্যোগের ফলে, বিদ্যালয়ে আসা অনেক শিক্ষার্থী উপকৃত হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিস টি তার এই কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। অনেকেই তার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ এর সমালোচনাও করেছেন।
তবে সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে মিস টি তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, শিশুদের প্রতি সামান্য সহানুভূতি ও ভালোবাসা তাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন আনতে পারে।
মিস টি’র এই প্রচেষ্টা প্রমাণ করে, একজন শিক্ষক চাইলে শিশুদের জীবনে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেন। তার এই মানবিক উদ্যোগ অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছে।
বর্তমানে তার এই কার্যক্রম স্থানীয় আরও কয়েকটি বিদ্যালয়েও শুরু হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল