বইয়ের পোকা এবং লেখক এলি র্যালো: পাঠকদের জন্য একটি আরামদায়ক জগৎ
বই ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর লেখক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর এলি র্যালো তাদের মধ্যে অন্যতম। তার সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৫০০ বই।
বই পড়া ছাড়াও তিনি একটি সাহিত্য চক্রও চালান, যেখানে বই নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নিজের বই পড়ার জন্য একটি বিশেষ পরিবেশ তৈরি করতে পছন্দ করেন এলি। তার মতে, একটি আরামদায়ক পরিবেশে বই পড়াটা দারুণ উপভোগ্য।
তিনি জানান, হালকা আলো, মোমবাতি এবং পছন্দের পানীয় নিয়ে বই পড়তে তার ভালো লাগে। দিনের বেলা হলে চা, আর সন্ধ্যা বা রাতের দিকে হলে ওয়াইন—এটাই তার পছন্দ।
সম্প্রতি, লাভস্যাক-এর সাথে একটি নতুন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এলি তাদের নতুন “পিলোস্যাক অ্যাকসেন্ট চেয়ার”-এর প্রচার করছেন। এই চেয়ারটি বিশেষভাবে পাঠকদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা বই পড়ার সময় আরামদায়ক একটা অনুভূতি দেয়।
এলি র্যালো সবসময় একটি নিজস্ব লাইব্রেরি তৈরির স্বপ্ন দেখতেন। তার মতে, বইয়ের একটি সংগ্রহ থাকাটা জরুরি।
তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি বই জমাতে শুরু করেন। বর্তমানে তার সংগ্রহে থাকা অধিকাংশ বই এখনো তার বাবা-মায়ের বাড়িতে রয়েছে।
এলি র্যালোর পছন্দের বইয়ের তালিকায় সাহিত্য বিষয়ক বইয়ের আধিক্য রয়েছে। তবে তিনি বিভিন্ন ধরনের লেখকের বই পড়তে ভালোবাসেন।
তার মতে, জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বই পড়া উচিত।
এলি র্যালো “প্রোজ হুজ” নামে একটি সাহিত্য চক্রও চালান, যা আধুনিক যুগে সাহিত্য আলোচনার একটি নতুন রূপ। প্রতি মাসে তিনি তার সদস্যদের জন্য একটি নতুন বই নির্বাচন করেন, যা তারা পড়েন।
পরে সেই বই নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় হয়। কখনো কখনো লেখকও এই আলোচনায় অংশ নেন। এলি জানান, তিনি বিভিন্ন ধরনের লেখকের বই সংগ্রহ করতে এবং তাদের কাজ অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করেন।
২০২৩ সালে এলি র্যালোর একটি প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশিত হয়, যার নাম ছিল “আই ডিডন্ট নো আই নিডেড দিস”। এছাড়াও, তিনি “ডাজ এনিওয়ান এলস ফিল দিস ওয়ে?” নামে একটি নতুন বই লিখেছেন, যেখানে তরুণ প্রজন্মের সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এলি র্যালোর মতে, নিজের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে তিনি তরুণ প্রজন্মের সাথে একটি সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, একাকীত্ব বা এক ধরনের অনুভূতি অনুভব করলে, অন্যদের সঙ্গে তা শেয়ার করাটা জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল