ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মী মাহমুদ খলিলকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বাইরে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আদালতের এই রায়ের ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকা মাহমুদ খলিলের মুক্তি মিলবে। সাধারণত, আইস-এর কাজ হলো অভিবাসন বিষয়ক আইন প্রয়োগ করা এবং বিদেশি নাগরিকদের আটক রাখা। এই সংস্থাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করে থাকে।
মাহমুদ খলিল একজন ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাকে আটকের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি এবং এটি একটি চলমান ঘটনা।
আদালত তার মুক্তির নির্দেশ দিলেও, মুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনার ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে এবং মাহমুদ খলিলের মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, আটক হওয়া ব্যক্তির অধিকার রক্ষা করা এবং দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন