বিখ্যাত মার্কিন কমেডিয়ান লুসিল বল এবং অভিনেতা ডেসি আর্নাজের কন্যা লুসি আর্নাজ সম্প্রতি তাঁর বাবা-মায়ের দাম্পত্য জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন। সিবিএস সানডে মর্নিং-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর বাবার অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্কগুলো আসলে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল না, বরং সেগুলো ছিল ‘লেনদেনের সম্পর্ক’।
লুসি আর্নাজের এই মন্তব্যের মাধ্যমে তাঁদের বিবাহিত জীবনের অজানা কিছু দিক আবারও সামনে এসেছে। “আই লাভ লুসি” খ্যাত এই তারকা দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৯৬০ সালে।
তখন লুসি আর্নাজের বয়স ছিল মাত্র আট বছর, আর তাঁর ছোট ভাই ডেসি আর্নাজ জুনিয়রের বয়স ছিল সাত বছর।
সাক্ষাৎকারে লুসি জানান, তাঁর বাবা ডেসি আর্নাজের ‘অ্যাফেয়ার’ নিয়ে লোকে অনেক কথা বললেও, বাস্তবে তিনি তেমন কিছু করেননি। “আসলে, তিনি ওই নারীদের নামও জানতেন না। তারা ছিল যৌনকর্মী।”
লুসিল বল এবং ডেসি আর্নাজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লুসি আরও বলেন, “আমার মা বাবাকে ভালোবাসতেন, ভালোবাসতেন তাঁর পরিবারকে। তাঁদের সম্পর্কটা ছিল খুবই অদ্ভুত, সম্ভবত সে কারণেই মা এত দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। আমি হয়তো মায়ের মতো পারতাম না।”
বিখ্যাত এই দম্পতির বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লুসি জানান, তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বিচ্ছেদের পর তাঁরা দুজনেই আগের চেয়ে অনেক বেশি শান্তিতে ছিলেন। তিনি আরও জানান, ছোটবেলায় তিনি তাঁর বাবার সম্মান রক্ষার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকতেন।
১৯৮৬ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ডেসি আর্নাজের মৃত্যুর কয়েক দিন আগে লুসিল বল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ডেসি আর্নাজের মৃত্যুর তিন বছর পর ১৯৮৯ সালে লুসিল বলের জীবনাবসান হয়।
লুসিল বল ছিলেন একজন কিংবদন্তী অভিনেত্রী, যিনি তাঁর অভিনয় এবং কৌতুক অভিনয়ের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। অন্যদিকে, ডেসি আর্নাজ ছিলেন একজন অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী এবং প্রযোজক। তাঁদের ‘আই লাভ লুসি’ (I Love Lucy) টেলিভিশন ধারাবাহিকটি আমেরিকান টেলিভিশন ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত এনেছিল।
লুসিল বলের বন্ধু লিলিয়ান ব্রিগস উইনোগ্রাড ১৯৯১ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ডেসি আর্নাজের মৃত্যুর পরও লুসিল বল তাঁকে ভালোবাসতেন।
এই ঘটনাগুলো আবারও প্রমাণ করে, তারকাদের জীবন সবসময় সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও অনেক সময় জটিলতার সৃষ্টি করে।
তথ্য সূত্র: পিপল