চলচ্চিত্র জগতে “জস” : অর্ধশতবর্ষ পরেও মানুষের মনে ভীতি জাগানো এক সিনেমা।
সিনেমা জগৎ এক বিস্ময়কর জগৎ। এখানে ঘটনার ঘনঘটা দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
তেমনই এক সিনেমা “জস”।
স্টিভেন স্পিলবার্গ-এর পরিচালনায় মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
পঞ্চাশ বছর পরেও, এই সিনেমা দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
সম্প্রতি, সিনেমাটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে, এর প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া “জস” (Jaws) সিনেমাটি পিটার বেঞ্চলির উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।
ছবিটির মূল বিষয় ছিল একটি বিশাল হাঙরের আক্রমণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম।
সিনেমার গল্প বলার ধরন, দৃশ্যের নির্মাণশৈলী এবং সাসপেন্স তৈরি করার কৌশল দর্শকদের এতটাই আকর্ষণ করেছিল যে, এটি বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য লাভ করে।
“জস” শুধু একটি সিনেমা ছিল না, এটি ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম।
সিনেমাটি মুক্তির পর মানুষের মধ্যে সমুদ্র এবং হাঙর সম্পর্কে এক অজানা ভীতি তৈরি হয়েছিল।
অনেকেই সমুদ্রের গভীরে যেতে ভয় পেতে শুরু করেন।
এমনকি, যারা সাঁতার কাটে, তাদের মধ্যেও এক ধরনের মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়।
সিনেমায় হাঙরের আক্রমণগুলো এমনভাবে দেখানো হয়েছে যা দর্শকদের মনে গভীর দাগ কাটে।
“জস” সিনেমাটি শুধু একটি ভয়ের সিনেমা ছিল না, এটি ছিল চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন।
এর নির্মাণশৈলী, শব্দ এবং দৃশ্যের ব্যবহার, দর্শকদের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করেছিল।
স্পিলবার্গ-এর সিনেমা বানানোর দক্ষতা এই ছবিতে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল।
তিনি দর্শকদের মনে ভীতি জাগিয়ে, তাদের আকর্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এই সিনেমার সাফল্যের পেছনে ছিল এর শক্তিশালী গল্প, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
গল্পের গভীরতা এবং চরিত্রগুলোর বাস্তব রূপ দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে যায়।
সেই সময়ে, সিনেমাটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, এটি ব্লকবাস্টার সিনেমার সংজ্ঞা তৈরি করে।
“জস”-এর সাফল্য প্রমাণ করে, একটি ভালো সিনেমা তৈরি করতে শুধু গল্পই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন উপযুক্ত নির্মাণশৈলী এবং দর্শকদের রুচি ও অনুভূতির প্রতি সম্মান জানানো।
“জস” -এর গল্প, নির্মাণশৈলী এবং এর গভীর প্রভাব আজও চলচ্চিত্র সমালোচক এবং দর্শকদের আলোচনার বিষয়।
সিনেমাটি শুধু একটি বিনোদন মাধ্যম ছিল না, বরং এটি মানুষের মনস্তত্ত্বের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
তথ্য সূত্র: পিপল