ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো এবং ইংলিশ ক্লাব চেলসির মধ্যেকার লড়াই ফুটবল প্রেমীদের নজর কেড়েছে। একদিকে যেমন ছিল মাঠভর্তি দর্শকের উন্মাদনা, তেমনই খেলার ফলও ছিল বেশ নাটকীয়।
এই ম্যাচটি শুধু একটি খেলার ফলাফলই ছিল না, বরং ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের একটি সফল চিত্রও বটে।
ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ডে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। মাঠে উপস্থিত ৫৪,০০০ দর্শক, বিশেষ করে ফ্ল্যামেঙ্গোর সমর্থকেরা খেলা শুরুর আগে থেকেই তাদের দলের প্রতি সমর্থন জানাতে মুখিয়ে ছিলেন।
খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই চেলসির খেলোয়াড় পেদ্রো নেটোর করা গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। তবে ফ্ল্যামেঙ্গোর সমর্থকেরা এতে দমে যাননি। উল্টো তাদের চিৎকার যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় গোল খাওয়ার পর ফ্ল্যামেঙ্গোর সমর্থকেরা যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। পুরো স্টেডিয়ামে তাদের সমর্থনের আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।
বিরতির পর খেলার ৫৪ মিনিটে গারসনের গোলে ফ্ল্যামেঙ্গো সমতা ফেরায়। এরপর ব্রুনো হেনরিকের গোলে তারা এগিয়ে যায় এবং ৮৩ মিনিটে ওয়ালিস ইয়ানের গোলে ফ্ল্যামেঙ্গো ৩-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে।
খেলার শেষ দিকে চেলসির খেলোয়াড় নিকোলাস জ্যাকসন লাল কার্ড পেলে দলটি আরও চাপে পরে যায়।
এই ম্যাচটি ছিল মূলত আগামী বছর হতে যাওয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ। যেখানে এই স্টেডিয়ামটিতে বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এই টুর্নামেন্টটিকে বিশ্বকাপের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন। তার মতে, এই ধরনের ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফুটবল সংস্কৃতিকে আরও কাছাকাছি আনবে।
ফুটবল বিশ্বে ব্রাজিল এবং ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর জনপ্রিয়তা অনেক। তাই এই ম্যাচে দুই দলের লড়াই ছিল ফুটবলপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।
খেলাটি প্রমাণ করে যে ক্লাব বিশ্বকাপ শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়, বরং এটি বিশ্বজুড়ে ফুটবল সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটায়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন