প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার পর অনেক সময় প্রেমিক বা প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সম্পর্কগুলো সবসময় মসৃণ নাও হতে পারে।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে এক তরুণী তাঁর প্রেমিকের পরিবারের কিছু আচরণে আহত হয়ে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইছেন না।
একত্রিশ বছর বয়সী ওই তরুণীর প্রেমিক প্রায় তিন বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন। শুরুতে তাঁর প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন এবং তাঁকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর প্রেমিকের বোন ও ভাবি প্রায়ই একসঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য অথবা ব্যায়াম করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ ভালোই ছিল।
কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। তরুণীর মনে হতে থাকে, তাঁর প্রেমিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেন তাঁর থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। এর কারণ তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
এমন সময় একটি ঘটনার জন্ম হয়, যা তাঁর মনে গভীর আঘাত দেয়।
ঘটনাটি ছিল এমন—তাঁর প্রেমিকের ভাই ও তাঁর স্ত্রী, এই যুগল হাওয়াই দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তাঁরা তরুণী ও তাঁর প্রেমিককেও সেখানে যেতে আমন্ত্রণ জানান।
তরুণী ও তাঁর প্রেমিক কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়ে তাঁদের এই প্রস্তাবে রাজি হন। কিন্তু পরে জানা যায়, তাঁদের আর যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
কারণ, তাঁরা নাকি ছোট একটি দলের সঙ্গে যেতে চান। এমনকি, তাঁরা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও তরুণী ও তাঁর প্রেমিককে ব্লক করে দেন।
এর কিছুদিন পরেই ঘটে আরেকটি ঘটনা। একদিন সন্ধ্যায়, তরুণী ও তাঁর প্রেমিককে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বাড়িতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
তাঁরা সেই দিন যেতে পারেননি, তবে জানান যে, তাঁরা রবিবার, অর্থাৎ ফাদার্স ডে-তে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন।
ওই রাতেই তরুণীর প্রেমিকের বোন তাঁদের একটি ভিডিও পাঠান। যেখানে তাঁর ভাবি তাঁদের প্রথম সন্তানের আগমনের ঘোষণা করেন। তরুণীর অভিযোগ, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর জানানোর সময় তাঁদের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা বিবেচনা করা হয়নি।
এই ঘটনাগুলোর পর তরুণী তাঁর প্রেমিকের কাছে তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, তাঁর মনে হচ্ছে, তাঁর প্রেমিক পরিবারের কাছে তাঁদের কোনো মূল্য নেই।
এমনকি, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, তাঁর মনে হয়, সবাই যেন তাঁর সামনে নিজেদের স্বাভাবিক আচরণ গোপন করেন।
এই ঘটনার পর তরুণী সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর তাঁর প্রেমিকের পরিবারের কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। এমনকি, তাঁর ভাবীকে তাঁর সন্তানসম্ভবা হওয়ার জন্য অভিনন্দনও জানাবেন না।
তিনি বলেন, যেখানে তিনি সম্মানিত বোধ করেন না, সেখানে তিনি যেতে চান না।
বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মতামত জানিয়েছেন। সেখানে অনেকে তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখালেও, কেউ কেউ তাঁর এই ধরনের আচরণকে সমর্থন করেননি।
তাঁদের মতে, কারো ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলে, এই নিয়ে বেশি মনোক্ষুণ্ণ হওয়ার কিছু নেই।
তবে, শেষ পর্যন্ত এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়—সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মান ও ভালো বোঝাপড়া খুবই জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল