শিরোনাম: সৎ মায়ের শাসন: বাবার আপত্তিতে ভাঙন, পরিবারের অন্দরে বিতর্ক
বর্তমান সমাজে, বিশেষ করে যেখানে পরিবারের ধারণাগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, সেখানে সৎ মা-বাবার সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক স্থাপন একটি জটিল বিষয়। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার অবতারণা হয়েছে, যেখানে এক ব্যক্তির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তার সৎ ছেলের প্রতি শাসনের প্রয়োগ করতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ওই ব্যক্তির স্ত্রী তার ১৭ বছর বয়সী ছেলেকে, যে কিনা আগের পক্ষের সম্পর্কের সন্তান, ঘর পরিষ্কার করতে বলেন। ছেলেটি তখন জিমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে জানায়, ফিরে এসে সে কাজটি করবে। এতে স্ত্রীর মনে হয়, ছেলেটি তাকে অসম্মান করেছে।
এর ফলস্বরূপ, তিনি ছেলেটিকে কিছুদিনের জন্য বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে তখনই, যখন ছেলেটির বাবা, অর্থাৎ ওই ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। তিনি স্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে রাজি ছিলেন না। তিনি জানান, ছেলের উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার, কারণ ছেলেটির মা তিনি নন।
বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ হয়।
ছেলেটির বক্তব্য ছিল, সে সাহায্য করতে প্রস্তুত, তবে তার একটি সময়সূচী রয়েছে এবং যখন তখন তাকে পাওয়া যাবে না। কারণ, সে তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য চেষ্টা করছে এবং খেলাধুলায় ভালো করার জন্য গ্রীষ্মকালে কঠোর অনুশীলন করছে।
ঘটনাটি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করেন, বাবা হিসেবে ছেলের প্রতি কিছু নিয়ম-কানুন তৈরি করার অধিকার ওই ব্যক্তির রয়েছে। তবে, পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াটাও জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সন্তানের সামনে নয়, বরং আলাদাভাবে বসে তাদের মধ্যে একটি সমঝোতায় আসা উচিত। এছাড়াও, সন্তানদের প্রতি শাসনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করা দরকার, যা সকলে মেনে চলবে।
এই ঘটনাটি আমাদের সমাজে পরিবার এবং সম্পর্কের জটিলতাগুলো নতুন করে ভাবতে শেখায়। যেখানে সৎ মা-বাবার ভূমিকা, সন্তানদের প্রতি তাদের দায়িত্ব এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: পিপল