একটি পরিবারের গল্প: কিশোরীর বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাবার সিদ্ধান্তে সৃষ্টি হলো বিতর্ক।
ঢাকার এক বাসিন্দা, যাঁর বয়স ৪২ বছর, সম্প্রতি তাঁর ১৭ বছর বয়সী মেয়ের বন্ধুদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তে এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর মেয়ে, আনিকা, বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে একটি ‘স্লিপওভার’-এর আয়োজন করেছিল।
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন আনিকার বাবা কিছু নিয়মের কথা মনে করিয়ে দেন।
আনিকার সৎ ভাই, ১৪ বছর বয়সী নোয়াহ, কয়েক বছর আগে তাঁর মাকে হারিয়েছেন। নোয়াহ একটু চুপচাপ স্বভাবের, এবং নিজের ব্যক্তিগত পরিসর ভালোবাসে।
আনিকার বাবা, যিনি নোয়াহরও অভিভাবক, বন্ধুদের আসার আগে কিছু নিয়ম বেঁধে দেন। তিনি মেয়েদেরকে গভীর রাতে হৈচৈ করতে এবং নোয়াহর ঘরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন, কারণ নোয়াহর নিজস্ব কিছু ব্যক্তিগত জিনিস ছিল, যা সে অন্য কাউকে দেখাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত না।
কিন্তু বিধি বাম! গভীর রাতে, আনিকার বাবা যখন মেয়েদের দেখাশোনা করতে যান, তখন তিনি দেখেন যে কয়েকজন মেয়ে নোয়াহর ঘরে প্রবেশ করেছে এবং তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে খেলা করছে।
নোয়াহ এতে খুবই বিরক্ত হয়। আনিকার বাবা সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং প্রত্যেক মেয়ের অভিভাবকদের ফোন করে তাঁদের সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন।
এই ঘটনার পর আনিকা বাবার উপর খুব রেগে যায়। সে বাবাকে ‘লজ্জা’ দেওয়ার অভিযোগ করে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনার পর আনিকার বাবা দ্বিধায় পড়ে যান, তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে তিনি সঠিক কাজ করেছেন কিনা।
এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বাবার এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন এবং তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করেছেন।
তাঁদের মতে, একজন অভিভাবক হিসেবে তিনি তাঁর ছেলের অধিকার রক্ষা করেছেন এবং পরিবারের শান্তি বজায় রেখেছেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্ক, সম্মান এবং ব্যক্তিগত অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আবারও আলোচনায় এসেছে।
শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের দায়িত্ব এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়।
তথ্য সূত্র: পিপল