ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদের পর সৎ মায়ের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরিবারের বিরাগভাজন এক তরুণী। সম্প্রতি, ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী, যিনি তার বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সৎ মায়ের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রেডডিট নামক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
সেখানে তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তের কারণে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে তিনি তীব্র সমালোচনার শিকার হচ্ছেন।
তরুণীর ভাষ্যমতে, তার বাবা ১৪ বছর বয়সে পুনরায় বিয়ে করেন। নতুন মা, অর্থাৎ সৎ মায়ের আগের পক্ষের দুটি সন্তান ছিল, যারা তার থেকে বয়সে ছোট ছিল।
শুরুতে, সৎ মা বেশ শান্ত এবং দূরত্ব বজায় রাখতেন, তবে সরাসরি কোনো খারাপ ব্যবহার করতেন না। তরুণীর মনে হতো, সৎ মা তার নিজের সন্তানদের প্রতি বেশি স্নেহশীল ছিলেন, যা তাকে কষ্ট দিত।
তিনি জানান, সৎ মা যেন সবসময় তাকে এড়িয়ে চলতেন।
তবে, পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে যখন তরুণী জানতে পারেন যে তার বাবা তাদের সম্পর্কের শুরুতে তার সম্পর্কে সৎ মাকে কিছু খারাপ কথা বলেছিলেন, যেমন – তিনি নাকি “কপট, মিথ্যাবাদী, খিটখিটে এবং আবেগগতভাবে অস্থির”।
সম্ভবত সে কারণেই সৎ মা তার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেন। পরে অবশ্য সৎ মা তার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হতে শুরু করে।
বিচ্ছেদের পর, বাবার ধারণা ছিল তরুণী তার সঙ্গেই থাকবে। কিন্তু ১৮ বছর বয়সে, তরুণীর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা ছিল।
সে তার সৎ মায়ের সঙ্গে থাকতে চায়, জানালে পরিবারে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বাবা তাকে “যে নারী কখনোই তাকে চায়নি” তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন।
এমনকি, তার দাদা-দাদি এবং পরিবারের বন্ধুরা তাকে অকৃতজ্ঞ এবং বাবাকে কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য দোষারোপ করেন।
পরিবারের এই প্রতিক্রিয়ার পরেও, তরুণী তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তিনি জানান, তার সৎ মা এখন তাকে ভালোবাসেন এবং তিনি তার প্রতি সহানুভূতিশীল।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সৎ মা নিয়মিত তার স্কুলের অনুষ্ঠানে যান এবং তার প্রয়োজনে সব সময় সাহায্য করেন।
তরুণীর মতে, তার বাবা বহু বছর ধরে তার প্রতি কোনো আগ্রহ দেখাননি। তিনি বলেন, “সৎ মা শোনেন, আমার জন্য জায়গা তৈরি করেন।
তিনি আমাকে নিরাপদ থাকার অনুভূতি দিয়েছেন।”
তথ্য সূত্র: পিপল