বিখ্যাত অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন, যিনি প্রায় চার দশক ধরে হলিউডে কাজ করছেন, এবার ব্রডওয়েতে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখছেন। ৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁর কর্মজীবনের ‘বকেট লিস্ট’-এর (জীবনের আকাঙ্ক্ষা তালিকা) শীর্ষে রয়েছে ব্রডওয়েতে একটি নাটকে কাজ করা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার বলেন, “আমি অবশ্যই ব্রডওয়েতে একটি নাটক করতে চাই।
তবে এর জন্য সময় বের করা এবং উপযুক্ত চিত্রনাট্য খুঁজে বের করাটা কঠিন। তিনি আরও যোগ করেন, “অবশ্যই ব্রডওয়েতে একটি নাটক করতে চাই।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল জেনিফারের। তাঁর বাবা-মা দু’জনেই ছিলেন বিনোদন জগতের মানুষ।
নিউ ইয়র্ক সিটির পারফর্মিং আর্টস হাই স্কুল থেকে পাশ করার পর তিনি কয়েকটি অফ-ব্রডওয়ে প্রযোজনায় কাজ করেন। এরপর টেলিভিশন শো-তেও দেখা গেছে তাঁকে।
১৯৯৩ সালে ‘লেপ্রেচুন’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর।
তবে, ‘ফ্রেন্ডস’ টিভি সিরিজে ‘রেচেল গ্রিন’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান। ১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই জনপ্রিয় সিরিজে কোর্টেনি কক্স, লিসা কুড্রো, ম্যাট লেভ্ল্যাঙ্ক, ম্যাথু পেরি ও ডেভিড শ্যুইমারের সঙ্গে তাঁর অনবদ্য অভিনয় আজও দর্শক হৃদয়ে গেঁথে আছে।
‘ফ্রেন্ডস’-এর সাফল্যের পাশাপাশি জেনিফার ‘মাই অ্যাফেকশন’ (১৯৯৮), ‘অফিস স্পেস’ (১৯৯৯), ‘দ্য গুড গার্ল’ (২০০২) এবং ‘ব্রুস অলমাইটি’ (২০০৩)-এর মতো চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন।
‘ফ্রেন্ডস’-এর পর তিনি ‘ম্যারলি অ্যান্ড মি’ (২০০৮), ‘হি’জ জাস্ট নট দ্যাট ইনটু ইউ’ (২০০৯), ‘জাস্ট গো উইথ ইট’ (২০১১), ‘উই’র দ্য মিলার্স’ (২০১৩), ‘কেইক’ (২০১৪), ‘ডাম্পলিন’ (২০১৮) এবং ‘মার্ডার মিস্ট্রি’ (২০১৯) ও ২০২৩ সালের সিক্যুয়েলে অভিনয় করেছেন।
বর্তমানে, তিনি অ্যাপল টিভি-র ‘দ্য মর্নিং শো’ তে রিস উইদারস্পুন, বিলি ক্রুডাপ, মার্ক ডু classপ্লাস এবং কারেন পিটম্যানের সঙ্গে অভিনয় করছেন।
এই সিরিজের চতুর্থ সিজন আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই শো-এর প্রযোজক হিসেবেও কাজ করছেন জেনিফার।
অভিনয়ের বাইরে জেনিফার ‘লোলাভি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানেরও মালিক। তাঁর হাতে এখন ‘হেইল মেরি’ এবং সোফি গুডহার্ট পরিচালিত একটি নাম ঠিক না হওয়া চলচ্চিত্রের কাজ রয়েছে।
তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে জেনিফার জানান, তিনি তাঁর অভিনীত ‘হরি́বল বসেস’ (২০১১) সিনেমাটির কথা পুনরায় বিবেচনা করতে চান।
জেসন বেটম্যান এবং চার্লি ডে-এর সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “চরিত্রগুলো খুবই মজাদার এবং আমাদের কমেডি দরকার। আমি মনে করি কমেডি খুবই প্রয়োজনীয়।
তাই আমরা আবার এই ছবিতে ফিরতে চাই।
তথ্য সূত্র: পিপল