হॉरর ফিল্ম ‘28 ইয়ার্স লেটার’ তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক আইফোন দিয়ে!
বিশ্বজুড়ে সিনেমা নির্মাতারা প্রায়ই নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মুক্তি পেতে যাওয়া ‘28 ইয়ার্স লেটার’ সিনেমাটি তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক আইফোন ব্যবহার করে।
ছবিটির পরিচালক ড্যানি বয়েল এই সিনেমায় ক্যামেরা হিসেবে আইফোন বেছে নিয়েছেন।
সিনেমাটির গল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে নির্মিত, যেখানে একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এটি ‘28 ডেজ লেটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি, যা মুক্তি পাবে আগামী জুন মাসের ২০ তারিখে।
ছবিতে ভাইরাসের কারণে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের জীবন এবং তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নানা রহস্য উন্মোচন করা হবে।
প্রথম ছবি ‘28 ডেজ লেটার’-এর পরিচালক ড্যানি বয়েল সিনেমার দৃশ্য ধারণের জন্য সে সময়ের জনপ্রিয় ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলেন, যা ছবিটিকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলেছিল। এবারও তিনি একই ধরনের শৈলী বজায় রাখতে চেয়েছেন।
তাই প্রচলিত হাই-টেক ক্যামেরার বদলে বেছে নিয়েছেন আইফোন।
পরিচালক বয়েলের মতে, আইফোন হালকা, বহনযোগ্য এবং দামেও সাশ্রয়ী। তাছাড়া, দুর্গম লোকেশনে যেখানে মানুষের আনাগোনা কম, সেখানেও সহজে শুটিং করা যায়। তিনি জানান, একসঙ্গে ২০টি পর্যন্ত আইফোন ব্যবহার করে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া সিনেমাটিতে ড্রোন এবং প্যানাসনিক ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয়েছে।
সাধারণ দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন আইফোন? বয়েল এর ব্যাখ্যা করে বলেন, পুরনো ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো এখন অনেক পুরনো হয়ে গেছে।
তাই তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যা সহজে সবার কাছে উপলব্ধ এবং সিনেমাটিক মানের ভিডিও ধারণ করতে পারে। তার মতে, এখনকার স্মার্টফোনগুলোতেও এই সুবিধা রয়েছে।
শুধু তাই নয়, আইফোন ব্যবহারের মাধ্যমে সিনেমার দৃশ্য ধারণের কাজটি আরও বাস্তবসম্মত করা সম্ভব হয়েছে। নির্মাতারা ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করেছেন।
ফলে, তাদের সরঞ্জাম বহন করতে সুবিধা হয়েছে। বয়েল আরও জানান, এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সিনেমার কিছু দৃশ্যে নতুনত্ব আনা সম্ভব হয়েছে, যা দর্শকদের জন্য উপভোগ্য হবে।
আসলে, আইফোন ব্যবহারের মূল কারণ হলো – এর বহনযোগ্যতা এবং উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি। আইফোন ১৫ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স-এর মতো মডেলগুলোতে আছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা, যা সিনেমায় হাই-রেজোলিউশনের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে সাহায্য করে।
তবে, ‘28 ইয়ার্স লেটার’-ই প্রথম সিনেমা নয়, যা আইফোন ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে। এর আগে ‘ট্যাঙ্গারিন’ (২০১৫), ‘আনসানে’ (২০১৮), ‘স্লিপ হ্যাজ হার হাউস’ (২০১৭) এবং ‘হাই ফ্লাইং বার্ড’ (২০১৯)-এর মতো সিনেমাগুলোতেও আইফোন ব্যবহার করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: পিপল