সুপারম্যানের নতুন অভিনেতা ডেভিড কোরেনসোয়েট, যিনি এই চরিত্রে অভিনয় করছেন, সম্প্রতি জানিয়েছেন সুপারম্যানের পোশাক পরাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। বিখ্যাত এই সুপারহিরোর পোশাকের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
সুপারম্যানের পোশাক তৈরি করা হয়েছে অনেকগুলো জিপার ব্যবহার করে, কিন্তু এমন কোনো জিপার নেই যা পোশাকটি না খুলেই বাথরুমে যাওয়া সহজ করে। কোরেনসোয়েট জানান, বিষয়টি নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছিল, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এই পোশাকের কারণে অনেক সময় ধরে শুটিংয়ের সময় তাকে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।
তবে অভিনেতা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি খুব একটা বিচলিত ছিলেন না। তার জন্য সবসময় একজন সহযোগী ছিলেন, যিনি তার পোশাক পরা ও খোলার কাজটি দ্রুত করতেন। এই সহকারীর নাম স্কটি। কোরেনসোয়েট জানান, স্কটি সবসময় তাকে সাহায্য করেছেন এবং শুটিংয়ের সময় বিরতির প্রয়োজন হলে দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করতে সহায়তা করেছেন।
সুপারম্যানের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবার যখন তিনি পোশাকটি পরেছিলেন, তখন তার অনুভূতি ছিল বেশ অন্যরকম। পোশাকটি ছিল কয়েকটি অংশে বিভক্ত এবং শুরুতে ‘এস’ চিহ্নটিও লাগানো ছিল না। কোরেনসোয়েট আরও জানান, এই চরিত্রের জন্য তাকে প্রায় ৪০ পাউন্ডের বেশি পেশি তৈরি করতে হয়েছে।
পোশাকটি তার শরীরের মাপ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল। স্ক্রিন টেস্টের সময় তার ওজন ছিল প্রায় ১৯৫ পাউন্ড, কিন্তু পোশাকের প্রথম ফিটিংয়ের সময় তার ওজন বেড়ে ২৩৫ থেকে ২৪০ পাউন্ড হয়েছিল। পোশাকটি শরীরে ভালোভাবে এঁটে বসত, যা প্রথমদিকে তার মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করেছিল।
সুপারম্যান ছবিতে লুইস লেনের চরিত্রে অভিনয় করছেন র্যাচেল ব্রোসনাহান। ডেভিড কোরেনসোয়েট এবং র্যাচেলের মধ্যে কাজের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। পরিচালক জেমস গান মনে করেন, ছবির সাফল্যের জন্য ক্লার্ক এবং লুইসের মধ্যেকার সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুপারম্যানের এই নতুন সিনেমাটি আগামী ১১ই জুলাই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি।
তথ্য সূত্র: পিপল