শিরোনাম: রহস্যময় মানব প্রজাতি থেকে গভীর সমুদ্রের জীবজগৎ: বিজ্ঞান জগতে সাম্প্রতিক আবিষ্কার
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন, যা মানব ইতিহাস, মহাকাশ এবং সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা জীবন সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই সপ্তাহে প্রকাশিত কিছু উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
চীনের একটি কুয়া থেকে উদ্ধার হওয়া ১ লক্ষ ৪৬ হাজার বছর পুরোনো একটি মাথার খুলি নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। এই খুলিটি “ড্রাগন ম্যান” নামে পরিচিত, যা সম্ভবত প্রাচীন মানব প্রজাতি দেনিসোভানদের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেনিসোভানরা ছিল আমাদের প্রজাতি – হোমো সেপিয়েন্স – এর দূর সম্পর্কের আত্মীয়। বিজ্ঞানীরা এই খুলি থেকে ডিএনএ (DNA) বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও নিয়মিতভাবে মহাবিশ্বের অজানা রহস্য উন্মোচনে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি, তাঁরা ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (Fast Radio Bursts) ব্যবহার করে “ব্যারিয়োনিক ম্যাটার” পর্যবেক্ষণে একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ব্যারিয়োনিক ম্যাটার হলো সেই পদার্থ যা আমরা পরিচিত পরমাণু দিয়ে গঠিত। এই পদার্থগুলি আন্তঃনাক্ষত্রিক অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, যা পর্যবেক্ষণে কঠিন ছিল।
এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এখন এই রহস্যময় পদার্থ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন।
গভীর সমুদ্রের জগতে, বিজ্ঞানীরা একটি বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছেন। তাঁরা প্রথমবারের মতো একটি জীবন্ত, ৩ ফুট লম্বা গভীর সমুদ্রের স্কুইডের (squid) ভিডিও ধারণ করেছেন। এই আবিষ্কার সমুদ্রের গভীরে থাকা অদেখা জগৎ সম্পর্কে আমাদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে তোলে।
আর্টের জগৎও পিছিয়ে নেই। বিজ্ঞানীরা ব্রিটেনের রোমান যুগে নির্মিত একটি বিলাসবহুল ভিলার দেয়ালের ছবি পুনরুদ্ধার করেছেন। “বেভারলি হিলস” নামে পরিচিত এই স্থানে পাওয়া ছবিগুলো রোমান জীবনের এক ঝলক দেখায়, যা প্রায় ১,৮০০ বছর আগের।
সমুদ্রের তলদেশে, বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের জীবন খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা মিথেন গ্যাস সমৃদ্ধ অঞ্চলে বসবাসকারী নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক মাকড়সা আবিষ্কার করেছেন। এই মাকড়সাগুলো তাদের শরীরে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে মিথেন থেকে খাদ্য তৈরি করে। এটি পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার, যা গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে:
বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করছেন এবং বিশ্বের অজানা দিকগুলো উন্মোচন করছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন