মা ও শাশুড়ির সম্পর্ক – এ এক চিরন্তন বিষয়। বিশেষ করে যখন একটি নতুন শিশুর জন্ম হয়, তখন এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে। একদিকে যেমন ভালোবাসার বাঁধন বাড়ে, তেমনই মতের অমিলও দেখা যায়।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং পুরনো ধ্যান-ধারণার মধ্যেকার এই ফারাক অনেক সময় নতুন মায়েদের জন্য এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। সম্প্রতি, এমন একটি ঘটনার কথা জানা গেছে যেখানে এক নতুন মা তাঁর শাশুড়ির কিছু আচরণে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, এমন একটি পরিবারে যেখানে শাশুড়ি প্রায়ই তাঁদের বাড়ি যান। মা হওয়ার আগে তাঁদের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল, এমনটাই জানান ওই নারী। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর থেকেই নাকি শাশুড়ি তাঁর লালন-পালন বিষয়ক বিভিন্ন সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
বিষয়টি শুরু হয় যখন মা তাঁর বুকের দুধ ফ্রিজে রাখলেন। শাশুড়ি জানতে চান, কেন দুধ ফ্রিজে রাখা হয়েছে। উত্তরে মা জানান, বেশি দুধ হওয়ায় তা ভালো রাখার জন্য এমনটা করতে হচ্ছে।
এরপর যখন তিনি শিশুকে ঠান্ডা দুধ খাওয়ানো শুরু করেন, তখনও শাশুড়ির আপত্তি। তিনি জানান, মায়ের শরীর থেকে বের হওয়া দুধ তো গরম থাকে! এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছেলের কাছেও জানতে চান, ঠান্ডা দুধ খাওয়ানো ঠিক আছে কিনা।
নতুন মা জানান, তিনি সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে পড়াশোনা করেছেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছেন। কিন্তু শাশুড়ির বারবার প্রশ্ন করাটা তাঁর ভালো লাগছে না।
তাঁর মনে হচ্ছে, মা হিসেবে তাঁর নিজের উপর আস্থা রাখা হচ্ছে না। এই ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে আসার পর অনেকেই মায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেছেন, মা হিসেবে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার তাঁর রয়েছে। শাশুড়ির এমন আচরণ নিঃসন্দেহে ভালো নয়।
আমাদের সমাজে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সম্মান জানানোর একটা প্রবণতা রয়েছে। তবে, নতুন প্রজন্মের মায়েদের আধুনিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলে, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসা সম্ভব। সবার আগে প্রয়োজন একে অপরের প্রতি সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া। পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে হলে, আলোচনা ও সম্মানের বিকল্প নেই।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম