শিরোনাম: পারিবারিক কলহের শিকার শিশুরা: এক কিশোরের প্রতিবাদের গল্প।
একটি পরিবারের অশান্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর যে গভীর প্রভাব পড়ে, সেই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি অনলাইনে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি হলো, এক কিশোর তার মা-বাবার ঝগড়ার প্রতিবাদ করায় পরিবারের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া টানাপোড়েন।
জানা যায়, ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর, যিনি তার মা-বাবা এবং ৮ বছর বয়সী ছোট বোনের সঙ্গে বসবাস করেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারিবারিক কলহ প্রত্যক্ষ করে আসছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, যা কিশোরীর মনে গভীর ভীতির সঞ্চার করত।
এমনকি, ঝগড়ার সময় চিৎকার এবং দরজা বন্ধ করার শব্দে ভীত হয়ে ছোট বোনটি প্রায়ই তার ভাইয়ের কাছে ছুটে আসত এবং তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করত।
ঘটনার দিন, মা-বাবার মধ্যে আবারও তুমুল ঝগড়া শুরু হলে কিশোরটি নিজেকে আর সামলাতে পারেনি। সে তার ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাবা-মাকে থামতে বলে। এমনকি সম্ভবত সে এমন কিছু কথাও বলেছিল যা হয়তো তার বলা উচিত হয়নি।
তার এই আচরণের কারণ ছিল, ছোট বোনের মানসিক অবস্থা। সে চাইছিল, তার বোন যেন শান্তিতে থাকতে পারে এবং তাদের ঝগড়ার কারণে কোনো ধরনের মানসিক আঘাত না পায়।
কিশোরের এমন প্রতিক্রিয়ায় তার মা তাকে তিরস্কার করেন এবং বলেন, “তুমি তো বড়দের কষ্ট বুঝবে না।” অন্যদিকে, তার বাবাও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এই ঘটনার পর, পরিবারে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিশোরটি সম্ভবত কিছুটা অপরাধবোধও অনুভব করছে।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে, অনেকেই কিশোরের প্রতি সমর্থন জানান। তারা মনে করেন, শিশুদের সামনে এমন আচরণ করা অভিভাবকদের উচিত নয়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, কিশোরটি তার বোনের জন্য সঠিক কাজটি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের সামনে মা-বাবার ঝগড়া তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা, উদ্বেগ এবং মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে।
তাই, প্রতিটি পরিবারের উচিত শিশুদের একটি শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ পরিবেশ দেওয়া, যেখানে তারা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবে।
তথ্য সূত্র: পিপল