বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ, আর সেখানে জীবনসঙ্গীর অনুপস্থিতি—এমন ঘটনা সমাজ জীবনে বেশ বিরল। সম্প্রতি, এমনই এক পরিস্থিতির শিকার হয়ে দ্বিধায় পড়েছেন এক নারী। বন্ধুদের মাঝে বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি, কিন্তু তাঁর স্বামী নিমন্ত্রণ পাননি। এই ঘটনায় তাঁর মনে তৈরি হয়েছে কিছু প্রশ্ন, যা নিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেছেন।
সাধারণত, আমাদের দেশে বিয়ে মানেই শুধু দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবারের, বন্ধু-বান্ধবদের এবং আত্মীয়-স্বজনের এক মিলনমেলা। সেখানে সবার উপস্থিতি কাম্য থাকে। এমন একটি অনুষ্ঠানে যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে একজনকে বাদ দেওয়া হয়, তবে তা অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু লাগতে পারে।
ওই নারীর ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তাঁকে বেশ কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে, সেই সঙ্গে থাকতে হবে পুরো সপ্তাহান্ত জুড়েই।
তিনি তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন, বিয়ের কনেটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও, সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁদের দেখা হয় এবং অতীতে তাঁদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। মজার বিষয় হলো, ওই নারীর বিয়েতে কিন্তু কনে এবং তাঁর স্বামী দুজনেই আমন্ত্রিত ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি দ্বিধায় পড়েছেন, যাবেন কিনা।
বিষয়টি নিয়ে অনেকে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, নিমন্ত্রণ রক্ষা করাটা একান্তই নিজের ইচ্ছের উপর নির্ভরশীল। আমন্ত্রিত না হলে সেখানে যাওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, কনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার করে নেওয়ার জন্য।
হয়তো বাজেট স্বল্পতার কারণে এমনটা হয়েছে। তবে, স্বামী বা স্ত্রীকে বাদ দিয়ে নিমন্ত্রণ করাটা স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করেন অনেকে।
ওই নারী জানিয়েছেন, সম্ভবত বাজেট একটি কারণ হতে পারে। যদি দূরে যেতে না হতো, তাহলে হয়তো তিনি যেতেন। কিন্তু ভ্রমণ এবং সময় কাটানোর বিষয়টি তাঁর সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা তৈরি করছে। সবশেষে, তিনি সম্ভবত নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তই নিবেন।
এই ঘটনাটি আমাদের সমাজে প্রচলিত বিয়ের ধারণা এবং সামাজিক রীতিনীতির উপর নতুন করে ভাবতে শেখায়। আপনি যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়তেন, তবে কী করতেন?
তথ্য সূত্র: পিপল