ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মী মাহমুদ খলিলকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে আটক রাখার পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নিউয়ার্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার (২১ জুন, ২০২৫) তাকে সংবর্ধনা জানাতে আসেন বহু সমর্থক। তাদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান অ্যালেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজও। খবরটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এপি।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীর মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খলিল ইসরায়েল এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে তার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, মার্কিন সরকার এই “গণহত্যা”য় অর্থ যোগাচ্ছে, আর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এতে বিনিয়োগ করছে। তাই তিনি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।
এমনকি তারা তাকে বন্দী করলেও, অথবা হত্যা করলেও তিনি ফিলিস্তিনের জন্য কথা বলতেই থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান অ্যালেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ এই প্রসঙ্গে বলেন, খলিলকে আটক করা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন এবং এটা প্রত্যেক আমেরিকানের প্রতি এক ধরনের অবমাননা।
তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন জানে, তারা একটি আইনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে। তারা আইন লঙ্ঘন করছে, এবং তারা তা জানে।
প্রায় ১০৪ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পাওয়া খলিল বিমানবন্দরে তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তিনি কারাগারে তার সঙ্গে থাকা অভিবাসীদের হয়েও কথা বলবেন।
তিনি যোগ করেন, “একজন নাগরিক হোক বা অভিবাসী, এই দেশে থাকা কেউই অবৈধ নয়। এটি তাদের মানুষ হিসেবে খাটো করে না।
উল্লেখ্য, খলিলের বিরুদ্ধে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সময় কোনো আইন ভাঙার অভিযোগ আনা হয়নি। তবে, প্রশাসন জানিয়েছিল, যারা ইসরায়েল বিরোধী এবং হামাসপন্থী (ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল) দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা উচিত।
আদালত খলিলের মুক্তির নির্দেশ দিলেও, সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছে।
বিচারক মাইকেল ফারবিয়ার্জের মতে, একজন বৈধ অভিবাসীকে, যিনি কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন এবং যিনি দেশ ছেড়ে পালানোর সম্ভাবনাও নেই, তাকে আটক রাখাটা “অস্বাভাবিক” হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস