যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। শনিবার, ২১শে জুন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সামাজিক মাধ্যমে এই হামলার ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, ইরানের ফোরদো, নাতানয এবং ইস্ফাহান-এ অবস্থিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ট্রাম্প তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের বিমানগুলো ইতোমধ্যে ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে। প্রধান কেন্দ্র ফোরদোতে বোমা ফেলা হয়েছে।” তিনি এই অভিযানের জন্য মার্কিন যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানান এবং শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানান।
ট্রাম্প শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছেন।
এই হামলার কয়েক দিন আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর আঘাত হেনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে কয়েক দিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে।
এর আগে, গত ১৮ই জুন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, “আমি এটা করতেও পারি, নাও করতে পারি। আমি কি করতে যাচ্ছি, কেউ জানে না।”
এছাড়াও, ১৭ই জুন ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করেন এবং ইঙ্গিত দেন যে, এখনই তাকে হত্যার পরিকল্পনা নেই।
মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের সামরিক পদক্ষেপের ফলে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এই অঞ্চলের অস্থিরতা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে প্রভাব ফেলতে পারে, যা আমাদের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপলস ডট কম-এ প্রকাশিত নিবন্ধ।