পরিবারের অমূল্য একটি স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে এক নারী ও তার সৎ মেয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, নারীর ঠাকুরমার একটি বিশেষ ব্রেসলেট (bracelet) রয়েছে, যা তিনি নিজের কাছে সযতনে রেখেছেন। এই ব্রেসলেটটির প্রতি তার গভীর আবেগ জড়িত, কারণ এটি তার কাছে একটি মূল্যবান স্মৃতিচিহ্ন।
সম্প্রতি, তার ১৬ বছর বয়সী সৎ মেয়ে ব্রেসলেটটি নিজের কাছে পেতে চায়, কিন্তু মা তাতে রাজি নন।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে, যখন মেয়েটি প্রথমবার মায়ের গয়নার বাক্স থেকে ব্রেসলেটটি দেখে। তখন সে এর সৌন্দর্য্যের প্রশংসা করে এবং জানতে চায়, তার ১৮ বছর বয়স হলে সে এটি পাবে কিনা। মা তখন হেসে বিষয়টা এড়িয়ে যান।
কিন্তু সম্প্রতি, মেয়েটি আবারও বিষয়টি উত্থাপন করে এবং জানায় যে, সে ইতিমধ্যেই ব্রেসলেটটিকে নিজের বলে মনে করে।
মা জানান, তিনি কখনোই মেয়েকে এটি দেবেন বলে কথা দেননি। ব্রেসলেটটির প্রতি তার নিজের আবেগ জড়িত এবং এটি তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে মেয়েটি বেশ অসন্তুষ্ট হয় এবং মায়ের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে।
সে জানায়, যেহেতু সে মায়ের ‘প্রায় মেয়ে’ তাই মায়ের উচিত ব্রেসলেটটি তাকে দেওয়া।
এরপর, বিষয়টি নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। মা যখন তার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেন, তখন মেয়েটি ঘর ছেড়ে চলে যায় এবং তার বাবাকে—অর্থাৎ মায়ের স্বামীকে—বিষয়টি জানায়। মেয়েটির অভিযোগ, তাকে পরিবারের অংশ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না।
এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। স্বামীর মতে, মেয়েকে ব্রেসলেটটি দিলে মায়ের কোনো ক্ষতি হবে না এবং এতে মেয়ের ভালো লাগবে। কিন্তু মা জানান, ব্রেসলেটটি তার কাছেও অনেক মূল্যবান এবং তিনি কেন এটি ছাড়তে রাজি নন, তা তিনি বোঝাতে পারছেন না।
বর্তমানে, মা তার স্বামী ও মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকছেন, যা তাকে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে, অনেকেই মায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটি একটি পারিবারিক স্মৃতিচিহ্ন এবং মায়ের অধিকার আছে এটি নিজের কাছে রাখার। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, ব্রেসলেটটি মেয়ের ১৮ বছর বয়সে দেওয়ার পরিবর্তে মায়ের মৃত্যুর পর তার কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল