1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 20, 2025 9:57 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
কোড অফ ডিউটির মামলায় নতুন মোড়: বন্দুক হামলার ঘটনায় দায়ী নয় গেম প্রস্তুতকারক? আতঙ্কে উদ্বাস্তু! স্বাস্থ্যখাতে বড় ধাক্কা, অভিবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত! মৃত্যুর পরেও, বাজারে থাকছে জিন থেরাপি! – প্রস্তুতকারকের ঘোষণা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট: বেদুঈনদের প্রতি যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান! গাজায় খাদ্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩২ ফিলিস্তিনি! কঙ্গো: বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি আলোচনা, কী হতে চলেছে? বিমানবন্দরে নতুন বোমা স্ক্যানার: এখনো কেন সব জায়গায় নেই? লস অ্যাঞ্জেলেসে বিস্ফোরণ: বিস্ফোরক ইউনিটের ভয়ংকর প্রশিক্ষণ! ট্রাম্পের চমক! স্থিতিশীল কয়েন নিয়ে নতুন আইন, উচ্ছ্বসিত ক্রিপ্টো জগৎ কাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিন ইন্তেকাল, শোকের ছায়া 

আলোচিত মেয়র রব ফোর্ডের জীবনে কী ঘটেছিল? চাঞ্চল্যকর ভিডিওর পর…

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, June 22, 2025,

কানাডার টরন্টোর সাবেক মেয়র রব ফোর্ডের জীবন ছিল এক কথায় উত্থান-পতনের গল্প। জনপ্রিয় মেয়র হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পরে তাঁর জীবনে আসে বিতর্ক, যাঁর চূড়ান্ত পরিণতি হয় তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অবসান।

সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ‘ট্রেনরেক: মেয়র অফ মায়াহেম’ নামের একটি তথ্যচিত্র আবারও আলোচনায় এনেছে এই বিতর্কিত রাজনীতিকের জীবন। আসুন, সেই গল্পটাই শোনা যাক।

২০১০ সালে টরন্টোর মেয়র নির্বাচিত হন রব ফোর্ড। দ্রুতই তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপও নেন।

কিন্তু ২০১৩ সালে তাঁর জীবনে আসে বিপর্যয়। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

ভিডিওটিতে ফোর্ডকে সম্ভবত কোকেন সেবন করতে দেখা যায়। এই ঘটনার জেরে তাঁর ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

যদিও ফোর্ড তাঁর সমর্থকদের একটি অংশের সমর্থন ধরে রেখেছিলেন এবং পদত্যাগ করতে রাজি হননি। বরং মেয়র হিসেবে বহাল থেকে তিনি ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হন।

ফোর্ডের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকেই বিতর্ক তাঁর সঙ্গী ছিল। ১৯৯৯ সালে ফ্লোরিডায় মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

মেয়র হওয়ার আগে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগও উঠেছিল। এমনকি, একটি হকি খেলার সময় মদ্যপ অবস্থায় এক দম্পতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলে।

মেয়র থাকাকালীন সময়েও বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ফোর্ড। একবার তিনি অফিসের লেটারহেড ব্যবহার করে স্থানীয় লবিস্টদের কাছ থেকে তাঁর ফুটবল ফাউন্ডেশনের জন্য অর্থ চেয়েছিলেন, যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল নতুন বিতর্ক।

এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ আনা হয়। যদিও আইনি লড়াইয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত জয়ী হন। এছাড়া, মাতাল অবস্থায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণেও সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

২০১৩ সালে, মাদক সেবনের ভিডিও প্রকাশের পর ফোর্ডের জীবনে আরও অনেক বিতর্ক যুক্ত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে এমন কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে তাঁকে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে এবং কিছু মানুষকে হত্যার হুমকি দিতে শোনা যায়।

এর ফলস্বরূপ, সিটি কাউন্সিল তাঁর ক্ষমতা হ্রাস করে এবং তাঁর বাজেটও কমিয়ে দেয়।

এরপর ২০১৪ সালে, ফোর্ড মাদকাসক্ত বলে স্বীকার করেন এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রে যান। পরে তিনি মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

একই বছর তাঁর শরীরে এক বিরল ধরনের ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্যান্সারের চিকিৎসার মধ্যেই তিনি কাউন্সিলর পদের জন্য লড়েছিলেন এবং জয়ীও হয়েছিলেন।

২০১৬ সালের মার্চ মাসে ৪৬ বছর বয়সে রব ফোর্ডের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়।

তাঁর স্ত্রী রেনাটা ফোর্ডও বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। ২০১৬ সালে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে অভিযুক্ত হয়ে তিনি শাস্তিও ভোগ করেছেন।

পরবর্তীতে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যদিও জয়ী হতে পারেননি।

রব ফোর্ডের ঘটনা রাজনৈতিক নৈতিকতা, জবাবদিহিতা এবং একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ ও তার ফলাফলের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একজন জনপ্রতিনিধির জীবনে সততা ও স্বচ্ছতার গুরুত্ব কতখানি, তা এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT