নিউ ইয়র্কের ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসবে সম্প্রতি ‘বেস্ট ইন শো’ সিনেমার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রটির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের পোষা প্রাণী নিয়ে নানা স্মৃতিচারণ করেন।
দর্শকদের জন্য এটি ছিল এক আনন্দ-উচ্ছ্বাসের উপলক্ষ। অনুষ্ঠানে জেন লিন্চ, জন মাইকেল হিগিন্স এবং মাইকেল হিচকক সহ সিনেমাটির প্রধান কলাকুশলীরা তাদের প্রিয় পোষ্যদের সম্পর্কে মজাদার ও হৃদয়স্পর্শী গল্প শোনান।
হাস্যরস আর নস্টালজিয়ার এক মিশ্রণে তৈরি হয় এক দারুণ পরিবেশ। অভিনেত্রী জেন লিন্চ, যিনি সিনেমায় ডগ হ্যান্ডলার ক্রিস্টি কামিং-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তার পোষা প্রাণী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, তার প্রয়াত বেলজিয়ান মালিনোয়েস ‘মিলড্রেড’-এর কথা।
বর্তমানে তার বাড়িতে দুটি বয়স্ক ব্ল্যাক ককার স্প্যানিয়েল রয়েছে। তাদের নিয়ে কাটানো মুহূর্তগুলো তার কাছে অত্যন্ত আনন্দের। লিন্চ জানান, “তাদের (কুকুরদের) প্রতিটি কাজই মজার।
চার্লস নামের একটি কুকুরের বয়স প্রায় ১২ বছর, আর তার কানগুলো সব সময় ভেসে থাকে। সে খুবই আনাড়ি, এমনকি বসতে গেলেও তার কানগুলো ভেসে থাকে। সে যখন ঝাঁপ দিতে যায়, তখন টুপ করে পড়ে যায়… চার্লস সবচেয়ে মজার কুকুর।”
জন মাইকেল হিগিন্স, যিনি সিনেমায় ডগ হ্যান্ডলার স্কট ডনলানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তিনি তার প্রয়াত পিটবুল ‘জিমি’-র কথা স্মরণ করেন। জিমি তার সন্তানদের সঙ্গে বড় হয়েছে।
হিগিন্স জানান, জিমি ছিল খুবই শান্ত প্রকৃতির এবং মানুষ তাকে ‘ডগgy লামা’ নামে ডাকত। জিমি মারা যাওয়ার পর তারা এখনো নতুন করে কোনো কুকুরকে বাড়িতে আনতে পারেননি।
অন্যদিকে, মাইকেল হিচকক, যিনি সিনেমায় হ্যামিল্টন সোয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তিনি নিজেকে ‘মাস্ট পিপল’ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। হিচকক তার পরিবারের আগের পোষা কুকুরদের নিয়ে মজার কিছু গল্প বলেন।
তার একটি বোস্টন টেরিয়ার ছিল, যে কিনা বাড়ির দরজা খেয়ে ফেলত! এছাড়াও, তিনি জানান, তার সিন্ডি নামের একটি কুকুর দীর্ঘ জীবন পেয়ে বার্ধক্যে মারা গিয়েছিল।
অনুষ্ঠানটিতে ‘বেস্ট ইন শো’ সিনেমার শিল্পীরা তাদের পোষা প্রাণী নিয়ে স্মৃতিচারণ করে দর্শকদের মন জয় করে নেন। পোষ্যদের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও আবেগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
তথ্য সূত্র: পিপল