মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা: ট্রাম্পের গোপন সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। গভীর রাতে চালানো এই অভিযানে ধ্বংস করা হয়েছে ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলার সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত গোপনীয়, যা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার নেওয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
খবর সূত্রে জানা যায়, হামলার কয়েক দিন আগে থেকেই হোয়াইট হাউজের পরিস্থিতি কক্ষে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। আলোচনার মূল বিষয় ছিল, কিভাবে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানা যায় এবং এর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে।
হামলার আগে তিনি বেশ কয়েকবার তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আগে থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। এপ্রিল মাসেই ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি করার জন্য তেহরানকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
সেই সময় তিনি বলেছিলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে, সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। সেই সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেও ইরান আক্রমণের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন তিনি।
জানা গেছে, হামলার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলসহ উপসাগরীয় কিছু দেশকে এই বিষয়ে অবগত করে। তবে ডেমোক্রেট দলের শীর্ষ নেতাদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল হামলার পরেই।
সামরিক সূত্র থেকে জানা যায়, এই অভিযানে অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়। এই বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
এছাড়াও, সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয় টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানান, “ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আমাদের সফল হামলা সম্পন্ন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের ত্রাস ইরানকে এখন শান্তির পথে আসতে হবে।
অন্যথায় ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং ইরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।