মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে দেশের আমদানি খরচ বাড়বে, যা চাপ সৃষ্টি করবে নিত্যপ্র প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে তেলের দাম কতদূর পর্যন্ত বাড়বে।
ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, যা বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ অপরিশোধিত তেলের বাণিজ্যপথ, তাহলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে।
এমতাবস্থায়, তেলের ব্যারেল প্রতি দাম ১০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা ইতোমধ্যেই বিদ্যমান দামের তুলনায় অনেক বেশি।
বর্তমানে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় ৬০ থেকে ৭৫ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
তবে, মার্কিন হামলার পর এই দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তেলের দাম বাড়লে বাংলাদেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে, যা পরিবহন খরচ বৃদ্ধি করবে।
এর ফলে খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য জিনিসের দামও বাড়তে পারে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ খাতেও প্রভাব পড়তে পারে।
কারণ, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত জ্বালানির খরচ বাড়বে।
ফলে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোরও একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলবে।
এই পরিস্থিতিতে, সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে, যাতে সাধারণ মানুষের ওপর এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কিছুটা কমানো যায়।
তবে, ভর্তুকি বাড়ানো হলে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনায়ও তার প্রভাব পড়বে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে নজর রেখে দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
একইসঙ্গে, তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন