মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের ক্লীভল্যান্ডে বসবাসকারী ৮৪ বছর বয়সী ক্লারা কুইম্বি প্রথমবারের মতো জাম্পিং করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি, তিনি তার দুই বছর বয়সী নাতির সঙ্গে একটি ট্রাম্পোলিনে (বিনোদনমূলক লাফানোর প্ল্যাটফর্ম) ওঠেন।
ক্লারার এই সাহসী পদক্ষেপ শুধু তার নিজের জন্যই আনন্দের ছিল না, বরং পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছেও এটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কুইম্বি পরিবারের ঘনিষ্ঠতা এবং ভালোবাসার বন্ধন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ক্লারার পুত্রবধূ মারিয়া কুইম্বি জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা সবসময় একসাথে সময় কাটান এবং নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন।
ক্লারার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি ৬৬ বছর ধরে বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করছেন, যা তাদের ভালোবাসার গভীরতার প্রমাণ। মারিয়ার নিজের শ্বশুর-শাশুড়ির ৩০ বছরের বিবাহিত জীবনও তাদের সম্পর্কের দৃঢ়তা প্রকাশ করে।
বৃদ্ধ বয়সে নতুন কিছু করার এই ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করে ক্লারা জানান, তিনি আগে অনেক কিছুই চেষ্টা করার সুযোগ পাননি, তাই এখন তিনি “হ্যাঁ” বলতে চান।
তিনি আরও জানান, এই গ্রীষ্মে প্রথমবারের মতো সুইমিং পুলে ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ক্লারার এই নতুন অভিজ্ঞতা তার পরিবারের ছোট সদস্য, বিশেষ করে নাতি-নাতনিদের জন্য একটি বিশেষ বার্তা বহন করে।
ক্লারের মতে, পরিবারের সদস্যরা তাকে সাহসী হতে, নতুন কিছু চেষ্টা করতে এবং সবসময় আনন্দিত থাকতে উৎসাহিত করে। মারিয়া বিশ্বাস করেন, তার ছেলে এই স্মৃতিগুলো সবসময় মনে রাখবে এবং পরিবারের সঙ্গে কাটানো সময়কে মূল্যবান মনে করবে।
পরিবারে একসাথে থাকার এই সংস্কৃতি শিশুদের বেড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ক্লারার পরিবারে চারজন প্রপিতামহ এবং তিনজন পিতামহ-মাতামহ রয়েছেন। মারিয়া বলেন, “এই ধরনের ঐতিহ্য সত্যিই অমূল্য। আমি আশা করি, সে সবসময় অনুভব করবে যে সে কতটা ভাগ্যবান।”
এই ঘটনা প্রমাণ করে, বয়স কোনো বাধা নয়।
নতুন কিছু চেষ্টা করার মানসিকতা এবং পরিবারের সমর্থন থাকলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল