মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের নাগরিকদের জন্য জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ইরানের উপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, ইসরায়েল থেকে আমেরিকান নাগরিকদের সরিয়ে নিতে জরুরি ফ্লাইট-এর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, লেবাননে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে জরুরি নয় এমন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সৌদি আরব এবং তুরস্কের মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কের ইনসিরলিক-এর ন্যাটো বিমানঘাঁটির কাছাকাছি এলাকা সহ, দেশটির কনস্যুলেট অঞ্চলে ব্যক্তিগত ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে কর্মীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে যে, তারা ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত দূতাবাস এবং এরবিলের কনস্যুলেট থেকেও কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। এমনকি ইসরায়েল-ইরান সংঘাত শুরুর আগেও এই কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (Associated Press) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত ৭৯০০ জনের বেশি মার্কিন নাগরিক ইসরায়েল ত্যাগ করার জন্য এবং ১০০০ জনের বেশি ইরান ত্যাগের জন্য সহায়তার আবেদন করেছেন। বর্তমানে ইসরায়েলে প্রায় ৭ লক্ষ এবং ইরানে কয়েক হাজার মার্কিন নাগরিক বসবাস করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সেখানকার দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস