শিরোনাম: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ছেন একই পরিবারের দুই সদস্য: সন্তানদের জন্য তাদের লড়াই
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মিলব্রুক শহরে বসবাস করা কেভিন ও ওয়েন্ডি উইলসন নামের এক দম্পতির জীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। ভালোবাসার ২২ বছর এবং ১৮ বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের ঘর আলো করে আছে চারটি সন্তান।
সম্প্রতি, এই দম্পতি জানতে পারেন, তারা দুজনেই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের ক্যান্সার ধরা পড়ে।
ওয়েন্ডি এর আগেও ক্যান্সারের সাথে লড়েছেন। ২০০৪ সালে তিনি প্রথমবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
এরপর ২০১৭ সালে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে তিনি অস্ত্রোপচার করান। কিন্তু সম্প্রতি পরীক্ষার পর জানা যায়, তার স্তন ক্যান্সার আবার ফিরে এসেছে। এবার ক্যান্সার চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, কেভিন এই প্রথম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন এবং এটিও চতুর্থ স্তরে রয়েছে।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও, এই দম্পতি তাদের সন্তানদের কথা ভেবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কঠিন সময়েও তারা হতাশ হননি।
বরং সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তারা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
ওয়েন্ডির কথায়, “আমার সন্তানদের বড় হতে দেখা এখনও বাকি। তাদের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করতে দেখা, আমাদের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে তাদের পথচলা দেখা এখনো বাকি।”
সন্তানদের কথা ভেবেই তিনি এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কনিষ্ঠ কন্যা সাভানা জানান, তার বাবা-মায়ের এই মুহূর্তে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি সকলকে তাদের আপনজনদের প্রতি আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।
চিকিৎসা এবং লড়াইয়ের এই কঠিন সময়েও, কেভিন ও ওয়েন্ডি দুজনেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা তাদের জীবনকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন।
তাদের এই কঠিন যাত্রাপথের কথা তুলে ধরতে, তারা টিকটকে @ourcancerbattle নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। সেখানে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন।
ওয়েন্ডি বলেন, “ক্যান্সার খুবই কষ্টের একটি রোগ।” তিনি মিলব্রুকের বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখানে যেন কোনো খারাপ কিছু নেই, সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে।”
এই কঠিন সময়ে, উইলসন দম্পতি তাদের পরিবারের ভালোবাসায় শক্তি খুঁজে নিচ্ছেন। তাদের এই লড়াই শুধু তাদের নিজেদের জন্য নয়, বরং এটি অন্যদেরও এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উৎসাহিত করবে।
তথ্য সূত্র: পিপল