যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা মুদি দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম, ক্রোগার আগামী দেড় বছরে তাদের প্রায় ৬০টি দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংখ্যাটি তাদের মোট দোকানের প্রায় ৫ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রতিযোগী আলবার্টসনের সাথে তাদের একত্রীকরণের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ক্রোগার জানায়, দোকান বন্ধ করার কারণে তারা প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি স্বীকার করতে চলেছে।
তবে কোম্পানিটি আশা করছে, দীর্ঘমেয়াদে এর ফলে তারা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে।
বন্ধ হতে যাওয়া দোকানগুলোতে কর্মরত কর্মীদের কাছাকাছি অবস্থিত অন্যান্য দোকানে পুনর্বাসন করা হবে।
ক্রোগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা যে অর্থ সাশ্রয় করবে, তা অবশিষ্ট দোকানগুলোতে গ্রাহক সেবার মান উন্নত করতে বিনিয়োগ করা হবে।
বর্তমানে ক্রোগারের প্রায় ১,২০০টি দোকান আমেরিকার ১৬টি রাজ্যে বিস্তৃত রয়েছে।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাওয়ায় তাদের বিক্রি বেড়েছে।
ভোক্তারা এখন বাড়িতে বেশি খাবার তৈরি করছেন, যা তাদের ব্যবসার জন্য ইতিবাচক দিক।
ক্রোগার তাদের পণ্যের দাম কমানোর পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রচার বাড়িয়েছে।
সাধারণত, নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো জাতীয় ব্র্যান্ডের তুলনায় সস্তা হয়ে থাকে।
ক্রোগারের নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্যগুলির বিক্রি গত সাতটি ত্রৈমাসিকে জাতীয় ব্র্যান্ডের চেয়ে দ্রুত বেড়েছে।
এছাড়া, ভোক্তাদের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোম্পানিটি খুব শীঘ্রই নতুন ৮০টি প্রোটিন সমৃদ্ধ পণ্য বাজারে আনতে চলেছে।
ক্রোগারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রন সারজেন্ট জানিয়েছেন, “আমাদের সব দোকান থেকে আমরা প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছি না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একত্রীকরণের প্রক্রিয়ার কারণে তারা সাধারণত যে বার্ষিক পর্যালোচনা করে, সেটি এবার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রডনি ম্যাকমুলেন ব্যক্তিগত আচরণের কারণে পদত্যাগ করার পর মার্চ মাসে রন সারজেন্টকে অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
শুক্রবার ক্রোগারের শেয়ার প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।
এই ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতির বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় এবং বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যেও শিক্ষণীয় হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন