পেটের মেদ: স্বাস্থ্যহানির নীরব ঘাতক!
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে পেটের মেদ বা ভুঁড়ি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
আধুনিক জীবনযাত্রায় খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার অভাবের কারণে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। আসুন, জেনে নিই পেটের মেদ কেন এত উদ্বেগের কারণ এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়গুলো কি কি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেটের গভীরে থাকা ভিসেরাল ফ্যাট (Visceral fat) নামক চর্বি শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। এই চর্বি কিডনি, লিভার এবং হৃদপিণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর চারপাশে জমা হয়।
এর ফলে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি, অতিরিক্ত পেটের মেদ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং স্মৃতিভ্রংশতা বা ডিমেনশিয়ার (dementia) মতো রোগের কারণ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, যাদের কোমরের মাপ মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৫ ইঞ্চির বেশি এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ ইঞ্চির বেশি, তাদের ভিসেরাল ফ্যাট বা পেটের মেদ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া, যাদের শরীরে পেশীর (muscle) তুলনায় চর্বির (fat) পরিমাণ বেশি, তাদেরও পেটের মেদ বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাহলে, পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি?
সুতরাং, সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য পেটের মেদ কমানো অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি এবং একটি সুস্থ জীবন উপভোগ করতে পারি।
তথ্য সূত্র: CNN