হাওয়াই দ্বীপে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে ও’আহু দ্বীপের কামেহামেহা হাইওয়েতে দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
গাড়িটি রাস্তার বিভাজক রেখা অতিক্রম করে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটায়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় দুই গাড়ির দুই জন নিহত হন এবং আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে একজন হলেন ২৮ বছর বয়সী নারী, যিনি দ্রুতগতির গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এছাড়া, দ্রুতগতির গাড়িটিতে থাকা আরও দুই তরুণী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, যে গাড়িটির সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার চালক ছিলেন ১৭ বছর বয়সী এক তরুণী। তিনি সামান্য আহত হলেও বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে জানা গেছে, দ্রুতগতির কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং এর ফলেই এই ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুতগতির গাড়িটির আরোহীদের মধ্যে কেউই সিটবেল্ট পরিধান করেননি।
হোনলুলু পুলিশ বিভাগের ট্রাফিক বিভাগের মেজর জেমস স্লেটার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “আমরা জানি সিটবেল্ট জীবন বাঁচায়। এই রাতের দুর্ঘটনার দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। যদি ১৭ বছর বয়সী ওই তরুণী সিটবেল্ট না পরতেন, তাহলে হয়তো তাঁরও গুরুতর আঘাত লাগতো বা মৃত্যু হতে পারতো।”
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি রাস্তার ওপর দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ি দুটি দেখতে পান। তাঁর মতে, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এই ঘটনার পর, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং সিটবেল্ট ব্যবহারের মতো সাধারণ বিষয়গুলো অনুসরণ করে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
তথ্য সূত্র: পিপল