বিশ্বের সেরা রেস্টুরেন্টের মুকুট জয় করলো পেরুর ‘মাইদো’, তালিকায় ল্যাটিন আমেরিকার জয়জয়কার। ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত হলো ২০২৩ সালের ‘ওয়ার্ল্ডস ফিফটি বেস্ট রেস্টুরেন্টস’ অ্যাওয়ার্ডস।
এই তালিকায় এবার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে পেরুর রাজধানী লিমার ‘মাইদো’ রেস্টুরেন্ট। পেরু ও জাপানি সংস্কৃতির খাবারের এক অনবদ্য মিশ্রণ ফুটিয়ে তোলার জন্য এই রেস্টুরেন্টটি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেনের ‘আসাদর এত্সেবাররি’। আগুনে রান্না এবং বিশেষ উপায়ে খাবার প্রস্তুত করার জন্য এই রেস্টুরেন্টটি পরিচিত।
মেক্সিকো সিটির ‘কুইন্টনিল’ রেস্টুরেন্টটি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। এই ফল আবারও প্রমাণ করে যে বিশ্ব খাদ্য মানচিত্রে ল্যাটিন আমেরিকার রেস্টুরেন্টগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে।
এই বছর পুরস্কারের তালিকায় উত্তর আমেরিকার রেস্টুরেন্টগুলোর স্থান কিছুটা নজরে এসেছে। নিউইয়র্কের ‘এটমিক্স’ রেস্টুরেন্ট, যেখানে কোরিয়ান এবং পশ্চিমা রন্ধনশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায়, তারা সেরা দশের তালিকা থেকে এবার ১২ নম্বরে নেমে এসেছে।
তবে, এই রেস্টুরেন্টের মালিক এবং প্রধান শেফ জুংহিউন ‘জেপি’ পার্ক এবং তাঁর স্ত্রী এলিয়া পার্ক, সম্প্রতি ‘আউটস্ট্যান্ডিং হসপিটালিটি’ বিভাগে জেমস বিয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।
অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রেস্টুরেন্ট ‘সিঙ্গেল থ্রেড’-এর স্থান শীর্ষ ৫০ থেকে নেমে ৮০-তে চলে এসেছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা খাদ্য জগতে ঐতিহ্য, খাদ্য প্রস্তুতের পদ্ধতি এবং পরিবেশের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁদের মতে, এখন শুধু কোন দেশ কতগুলো রেস্টুরেন্টকে তালিকায় স্থান দিতে পারল, সেটিই মুখ্য নয়।
বরং, খাবারের গুণগত মান, খাদ্য তৈরিতে স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার এবং খাদ্য ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানানোটাও জরুরি।
তবে, উত্তর আমেরিকার জন্য একটি বিশেষ খবর রয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা ‘নর্থ আমেরিকা’স ফিফটি বেস্ট রেস্টুরেন্টস’ নামে একটি তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে, যা এই অঞ্চলের খাদ্য সংস্কৃতির নতুন দিক উন্মোচন করবে।
আগামী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের খাদ্য বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নির্বাচিত রেস্টুরেন্টগুলোর নাম ঘোষণা করা হবে।
এই ঘোষণার সাথে মিল রেখে লাস ভেগাসে ‘রেভেলেরি’ নামে একটি খাদ্য ও পানীয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবে খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা এবং বিভিন্ন দেশের নামকরা শেফদের রান্নার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
‘এটমিক্স’ এবং ‘সিঙ্গেল থ্রেড’-এর মতো রেস্টুরেন্টগুলো এই উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে।
‘ওয়ার্ল্ডস ফিফটি বেস্ট রেস্টুরেন্টস’-এর এই তালিকা বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়। এই বছর ল্যাটিন আমেরিকার জয়জয়কার এর প্রমাণ।
উত্তর আমেরিকাও তাদের খাদ্য সংস্কৃতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে প্রস্তুত হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার