মধ্যপ্রাচ্যে অস্থির পরিস্থিতি: বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইট বাতিল ও পরিবর্তনে বাংলাদেশি যাত্রীদের করণীয়।
আন্তর্জাতিক সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় পরিবর্তন আনছে অনেক বিমান সংস্থা। এর ফলে, দুবাই ও দোহার মতো গন্তব্যে যেতে চাওয়া বাংলাদেশি যাত্রীদের ভ্রমণের পরিকল্পনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই, ভ্রমণের আগে ফ্লাইট এবং টিকিটের বিষয়ে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
সম্প্রতি, কাতার এয়ারওয়েজ তাদের ওয়েবসাইটে একটি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। এই এয়ারলাইন্সে করে যারা ৩০শে জুনের মধ্যে ভ্রমণ করার কথা, তাদের টিকিট পরিবর্তনে কোনো চার্জ নেওয়া হবে না। এমনকি, ১৫ই জুলাই পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য টিকিট বাতিল করলে, টিকিটের পুরো মূল্য ফেরত পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে।
তবে, কাতার এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, ২৩শে জুন কাতারের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের ফ্লাইট সূচিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে এবং এটি সম্ভবত ২৬শে জুন, ২০২৫ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, এমিরেটস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তাদের ফ্লাইট পরিচালনায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তারা জানিয়েছে, সংঘাতপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে, এমিরেটস ৫,৮০০টির বেশি ফ্লাইটে ১৭ লক্ষাধিক যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থাগুলোও তাদের যাত্রীদের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের যে সকল যাত্রী ১৮ই জুন থেকে ৩রা জুলাই এর মধ্যে দুবাইয়ের টিকিট কিনেছেন, তারা কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন অথবা টিকিটের সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত নিতে পারবেন।
একইভাবে, আমেরিকান এয়ারলাইন্সও দোহা ও দুবাইগামী ফ্লাইটের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
শুধু বিমান সংস্থাগুলোই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরও তাদের নাগরিকদের জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে। গত ২২শে জুন তারা আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যাওয়া সকল মার্কিন নাগরিককে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের পরিবারের সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকেন, অথবা কোনো কারণে তাদের সাথে ভ্রমণ করার কথা থাকে, তবে এই সতর্কবার্তাটি তাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ভ্রমণের আগে কিছু বিষয় মনে রাখা দরকার:
অতএব, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার এবং বিমান সংস্থাগুলোর দেওয়া নির্দেশনাগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার