মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম যৌথ ভাষণে কংগ্রেসের সামনে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরবেন। মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টা) এই ভাষণটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এটিকে সাধারণত ‘রাষ্ট্রের অবস্থা’ বিষয়ক ভাষণ হিসেবে অভিহিত করা হয় না। কারণ, এই ভাষণটি সাধারণত কোনো প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালের দ্বিতীয় বা পরবর্তী বছরগুলোতে দেওয়া হয়ে থাকে।
**ভাষণের সময় ও স্থান**
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে (House Chamber) এই ভাষণটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি সিনেট কক্ষের চেয়ে বড়, যেখানে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এবং সিনেটরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকতে পারেন। ভাষণে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। তবে, সব সময় মন্ত্রিসভার একজন সদস্য অনুপস্থিত থাকেন। এই ব্যক্তিকে ‘নির্ধারিত সারভাইভার’ (Designated Survivor) বলা হয়। প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে দেশটির শাসনভার গ্রহণের জন্য তিনি প্রস্তুত থাকেন।
**ভাষণে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়**
প্রেসিডেন্ট সাধারণত এই ভাষণে এমন কিছু অতিথিকে আমন্ত্রণ জানান, যাদের হয় ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, অথবা প্রেসিডেন্টের নজরে আসা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সঙ্গে তাদের সংযোগ রয়েছে। এই ভাষণের পর বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। এবার তাদের হয়ে বক্তব্য রাখবেন মিশিগান থেকে নির্বাচিত সিনেটর এলিসা স্লটকিন। এছাড়াও, নিউইয়র্কের প্রতিনিধি অ্যাড্রিয়ানো এসপায়াল্লাত স্প্যানিশ ভাষায় একটি প্রতিক্রিয়া জানাবেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষার ব্যবহার সীমিত করার কথা বলা হয়েছে।
**কেন এটিকে ‘রাষ্ট্রের অবস্থা’ বিষয়ক ভাষণ বলা হয় না?**
ঐতিহ্যগতভাবে, ‘রাষ্ট্রের অবস্থা’ বিষয়ক ভাষণ হলো আগের বছরের কার্যক্রমের একটি পর্যালোচনা। তবে, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে সম্প্রতি ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। তাই, নতুন প্রেসিডেন্টের প্রথম যৌথ ভাষণটি সাধারণত আগামী দিনের পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারের ওপর কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়। কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত প্রথম বছরের ভাষণে প্রায় ৪২টি নীতি প্রস্তাব করা হয়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস