প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি মিশরে বিলাসবহুল নৌভ্রমণের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে হোটেল চেইন ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া। ২০২৬ সাল থেকে নীল নদে তাদের প্রমোদতরী যাত্রা শুরু হবে, যা ভ্রমণ প্রেমীদের এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে।
এই বিলাসবহুল ক্রুজে চড়ে মিশরের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ হবে, যা একইসঙ্গে আরাম ও আড়ম্বরের এক অনন্য মিশ্রণ।
হিলটনের একটি অঙ্গসংগঠন হিসেবে ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া তাদের এই নৌভ্রমণ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে।
এই প্রমোদতরীগুলি নীল নদের বুকে লুক্সর থেকে আসওয়ান পর্যন্ত ৪ বা ৬ রাতের ভ্রমণ প্যাকেজ সরবরাহ করবে।
এই যাত্রা পথে যাত্রীরা প্রাচীন মিশরের ঐতিহ্যবাহী মন্দির, ফারাওদের সমাধিস্থল এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন।
এই প্রমোদতরীর প্রতিটি কামরা তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক নকশার সাথে।
প্রতিটি কক্ষে হালকা কাঠের মেঝে, উজ্জ্বল সাদা লিনেন এবং বিশাল জানালা রাখা হয়েছে, যা নীল নদের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও, এখানে থাকবে অত্যাধুনিক ফিটনেস সেন্টার, স্পা এবং ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়ার নিজস্ব রেস্তোরাঁ ‘পিকক অ্যালে’।
এই রেস্তোরাঁটিতে মিশরীয়, ভূমধ্যসাগরীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ উপভোগ করা যাবে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো প্রমোদতরীর ছাদের উপর তৈরি ডেক, যেখানে বসে রাতের আকাশে তারার মেলা উপভোগ করা যাবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে হিলটন তাদের বিলাসবহুল হোটেলের অভিজ্ঞতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে মিশরে হিলটনের ১৪টি হোটেল রয়েছে এবং তারা খুব শীঘ্রই এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে।
ওয়াল্ডর্ফ অ্যাস্টোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নৌভ্রমণ তাদের ভবিষ্যতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং তারা নতুন গন্তব্যগুলিতে তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করতে আগ্রহী।
নৌভ্রমণের বুকিং সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে আগ্রহীরা ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়ার ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে পারেন।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার