ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ এখনো বহু দূরে, এমনটাই মনে করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি লন্ডনে এক সফরে গিয়ে তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বেশি সমর্থন চেয়েছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি।
জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকবে বলেই তিনি আশা করেন, কারণ গত তিন বছর ধরে ইউক্রেনকে ওয়াশিংটন যে সমর্থন জুগিয়ে আসছে, তা একটি ‘সাধারণ সম্পর্কের’ চেয়ে অনেক বেশি কিছু। তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ইউক্রেনের সঙ্গে আমেরিকার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং এর ফলে সাহায্য অব্যাহত থাকবে।
লন্ডন ত্যাগের আগে ইউক্রেনীয়দের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে, কিন্তু সম্প্রতি তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছু অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। ইউক্রেনের দুর্বল সামরিক শক্তি রাশিয়ার বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে টিকতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাব ইউক্রেনের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখতে রাজি করানোর জন্য জেলেনস্কি লন্ডনে গিয়েছিলেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রহের প্রেক্ষাপটে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জার্মানির সম্ভাব্য পরবর্তী নেতা ফ্রিয়েডরিশ মের্জ মনে করেন, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যা ঘটেছে, তা আকস্মিকভাবে হওয়া কোনো ঘটনা ছিল না। তিনি বলেন, “আমার ধারণা, জেলেনস্কির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটি ঘটেনি, বরং এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
মের্জ আরও যোগ করেন, ওয়াশিংটনের কাছ থেকে তিনি বর্তমানে যা দেখছেন, তাতে ধারাবাহিকতা রয়েছে। তিনি ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর জোর দেন। মের্জ এই পরিস্থিতিতেও ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পক্ষে মত দেন।
তথ্য সূত্র: এপি