বিখ্যাত অভিনেত্রী নাওমি ওয়াটস, যিনি তাঁর অভিনয় জীবনের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, প্রায়ই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, এই অভিনেত্রী তাঁর ভ্রমণের কিছু গোপন রহস্য এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করেছেন।
সিনেমায় অভিনয়ের সূত্রে থাইল্যান্ড থেকে স্লোভেনিয়া, এমনকি নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়াতেও তাকে যেতে হয়েছে। ভ্রমণের এই ব্যস্ততার মাঝেও কীভাবে তিনি নিজেকে সতেজ রাখেন, সেই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ভ্রমণের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখা। নাওমি ওয়াটস-এর মতে, ভ্রমণের শুরুতে তিনি চেষ্টা করেন খুব কম জিনিস সাথে নিতে, যাতে বিমানবন্দরে বেশি সময় নষ্ট না হয়।
“ক্যারি-অন” স্যুটকেস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এতে লাগেজ হারানোর ঝুঁকিও কমে যায়। তবে ফ্যাশন সচেতন শহরগুলোতে, যেমন প্যারিসে, হালকা পোশাকের কারণে মাঝে মাঝে পোশাক নির্বাচনে সমস্যা হতে পারে বলেও তিনি জানান।
বিমানে ভ্রমণের সময় তিনি আরামের দিকে বেশি মনোযোগ দেন। জানা যায়, তিনি সবসময় “আইল সিট” পছন্দ করেন, যাতে অন্যদের অসুবিধা না করে তিনি সিট থেকে উঠতে পারেন।
বিমানে তিনি সাধারণত ঘুমিয়ে সময় কাটান। ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক পোশাক, যেমন সুজি কোন্ডি-র তৈরি ট্র্যাকস্যুট-এর সেট তাঁর খুব পছন্দের। এছাড়াও, চোখের মাস্ক এবং এলইডি ফেস মাস্ক ব্যবহার করেন, যা তাকে ভ্রমণের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়।
নিজের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মধ্যে একটি বিশেষ জিনিসের কথা উল্লেখ করেন নাওমি ওয়াটস। সেটি হল “ভ্যাজাইনাল ময়েশ্চারাইজার”।
তাঁর মতে, ভ্রমণের সময় শরীরের অন্যান্য অংশের মতো এই অঞ্চলের আর্দ্রতা বজায় রাখাটাও জরুরি।
অভিনেত্রী তাঁর পছন্দের একটি হোটেলের কথা উল্লেখ করেছেন, যা প্যারিসের ‘লে প্যাভিলন দে লা রেইন’। এই হোটেলটি তাঁর খুব পছন্দের, কারণ এটি একইসঙ্গে বিলাসবহুল এবং আরামদায়ক।
ভবিষ্যতে তিনি মাচু পিচু বা ভিয়েতনাম ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। তবে অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়াটা তাঁর কাছে সবসময়ের জন্য বিশেষ কিছু, যদিও এখন সেখানে যাওয়া আগের চেয়ে একটু কমে গেছে।
দীর্ঘ ভ্রমণের পর জেট ল্যাগ কাটিয়ে ওঠার জন্য নাওমি ওয়াটস কিছু বিশেষ টিপস দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের পর প্রথমেই গোসল করা উচিত।
এতে শরীর সতেজ হয় এবং দিনের কাজ শুরু করা সহজ হয়। এরপর হালকা গরম জলে স্নান এবং ঘুমের আগে হালকা চা পান করা যেতে পারে।
এছাড়াও, নাওমি ওয়াটস-এর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল মেনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা।
এই সময়ে নারীদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সমাজের মনোযোগ কম থাকে, এমনটা তিনি মনে করেন। তাই তিনি ‘স্ট্রাইপস বিউটি’ নামে একটি সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন, যা মেনোপজ-এর সময় নারীদের জন্য বিশেষ পণ্য সরবরাহ করে।
তাঁর এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল, মধ্যবয়সী নারীদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলা।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল + লেজার