বন্ধুত্ব যখন সীমালঙ্ঘন করে: বান্ধবীর টুটব্রাশ ব্যবহারের পর বিতর্কে তরুণী।
সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন তরুণীর অভিজ্ঞতা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে (যিনি “ক্লেয়ার” নামে পরিচিত) কয়েক দিনের জন্য নিজের বাড়িতে থাকতে দেন।
কিন্তু সেই সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। ঘটনাটি অনলাইনে শেয়ার করার পর থেকেই নেটিজেনদের মধ্যে এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
২২ বছর বয়সী ওই তরুণী জানিয়েছেন, ক্লেয়ারের সঙ্গে তাঁর কলেজ জীবন থেকে বন্ধুত্ব।
ক্লেয়ার নাকি সবসময় “আমি অন্য মেয়েদের মতো নই” এমনটা বলতে ভালোবাসেন এবং ওট মিল নিয়ে তাঁর নিজস্ব কিছু মতামত রয়েছে।
শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও, ধীরে ধীরে যেন তাল কাটতে শুরু করে।
ক্লেয়ার যখন তাঁর বাড়িতে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিল কেবল একটি ছোট ব্যাগ, একটি গাছ এবং টুথব্রাশ ছিল না।
তরুণী জানান, ক্লেয়ার এসেই সোফায় আরাম করে বসেন এবং যেন সেটাই তাঁর ব্যক্তিগত সিংহাসন।
তরুণী বিষয়টি প্রথমে তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু এরপর ক্লেয়ার ফ্রিজ খুলে জানতে চান, তাঁর বাড়িতে আচার নেই কেন!
এরপর তিনি তরুণীর মশলার র্যাক “নিজের রুচি মতো” সাজাতে শুরু করেন, এমনকি বইগুলোও রঙের মিল অনুসারে সাজান, যা দেখে তরুণী বেশ বিরক্ত হন।
সবচেয়ে চূড়ান্ত ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে।
যখন তরুণী রান্নাঘরে যান, তিনি দেখেন ক্লেয়ার তাঁর নিজের টুথব্রাশ ব্যবহার করছেন! এই দৃশ্য দেখে তিনি আর নিজেকে সামলাতে পারেননি।
প্রথমে নরমভাবে জানতে চাইলেও, ক্লেয়ার বিষয়টি হালকাভাবে নিয়ে হাসতে হাসতে বলেন, “আমি তো দিনে একবার দাঁত ব্রাশ করি, এতে এত সিরিয়াস হওয়ার কি আছে!”
এরপরেই তরুণী রেগে যান এবং সরাসরি ক্লেয়ারকে বলেন, “তুমি ‘একটু অন্যরকম’ নও, তুমি আসলে একজন খারাপ অতিথি, যার ব্যক্তিগত সীমারেখা সম্পর্কে ধারণা নেই।”
কথাবার্তা শুনে ক্লেয়ার দ্রুত জিনিসপত্র গুছিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান।
পরে তিনি তাঁদের বন্ধুদের জানান যে, তরুণী “অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া” দেখিয়েছেন।
ঘটনার পরে, তরুণী তাঁর নিজের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি জানতে চান, তিনি কি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন?
তিনি অনলাইনে বিষয়টি তুলে ধরে এর কারণ ব্যাখ্যা করে জানতে চান, তাঁর এমন করাটা ঠিক ছিল কিনা।
এই ঘটনার পর, অনেকেই তরুণীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তাঁদের মতে, নিজের টুথব্রাশ অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়াটা স্বাস্থ্যকর রুচির পরিচয় নয়।
এটি একটি স্পষ্ট সীমা লঙ্ঘন।
অনেকেই মন্তব্য করেছেন, বন্ধুত্বের নামে এমন আচরণ আসলে মেনে নেওয়া যায় না।
সাধারণভাবে, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিশেষ করে, টুথব্রাশের মতো ব্যক্তিগত জিনিস অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াটা স্বাস্থ্যসম্মত নয় এবং এটি সাধারণত গ্রহণযোগ্যও নয়।
তথ্যসূত্র: পিপল