যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে আইডাহোর চার শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রস্তুতি চলছে। এই মামলার শুনানির অংশ হিসেবে, পেনসিলভেনিয়ার একটি আদালত বিবেচনা করছে, অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবারগারের আইনজীবী পক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে সেখানকার কয়েকজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে কিনা।
খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
২০২২ সালের নভেম্বরে ইউনিভার্সিটি অফ আইডাহোর কাছাকাছি একটি বাড়িতে চার শিক্ষার্থীর—ইথান চ্যাপিন, জানা কার্নোডল, ম্যাডিসন মোগেন এবং কাইলে গানকালভেস— নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবারগার। পেশায় তিনি ছিলেন ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগের ছাত্র। ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর পেনসিলভেনিয়ার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চারটি খুন ও একটি ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসন্ন এই মামলার বিচারকাজ আগামী ১১ই আগস্ট আইডাহোর বোইসি শহরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আদালত ইতিমধ্যে কোহবারগারের আইনজীবীর মামলার শুনানির সময় পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
এই মামলায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
পেনসিলভেনিয়ার স্ট্রাউডসবুর্গে সোমবারের শুনানিতে মূলত কোহবারগারের আইনজীবীদের করা একটি আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।
তারা সেখানকার সাতজন ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।
যদিও এই সাক্ষীদের মামলার সঙ্গে ঠিক কী সম্পর্ক, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদের মধ্যে একজন শুনানিতে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন।
এছাড়াও, জানা গেছে, এই সম্ভাব্য সাক্ষীদের মধ্যে স্কুল কর্মচারী, কারারক্ষী, একটি বক্সিং জিমের মালিক এবং একজন গ্যারেজ কর্মীও রয়েছেন।
আদালতে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে কোহবারগার নীরব ছিলেন, যে কারণে বিচারক তার হয়ে ‘দোষ অস্বীকারের’ রায় দেন।
মামলার তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আইনজীবীরা সাধারণত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন না।
তবে জানা গেছে অভিযুক্তের আইনজীবীর অফিস সোমবারের শুনানির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আদালত সূত্রে খবর, সাতজন সম্ভাব্য সাক্ষীর মধ্যে আরও একজন সোমবারের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
তিনি ভ্রমণের কারণে সেখানে থাকতে পারছেন না।
তাই তার সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়টি আগামী ৭ই জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন