মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প সম্প্রতি দেশটির কংগ্রেসে একটি বিলের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন, যা অনলাইনে ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে।
এই বিলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) ব্যবহার করে তৈরি করা ছবি বা ভিডিও, যা ‘deepfake’ নামে পরিচিত, সেগুলোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
খবর অনুযায়ী, এই ধরনের কন্টেন্ট দ্রুত সরিয়ে ফেলতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
সোমবার ক্যাপিটল হিলে এই বিলের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেলানিয়া ট্রাম্প বলেন, কিশোর-কিশোরী, বিশেষ করে মেয়েদের, অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হতে দেখাটা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।
তিনি কংগ্রেসকে তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের বিষাক্ত পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
তাই, তরুণদের অনলাইন জগতে নিরাপদে বিচরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সরঞ্জাম দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে।”
উক্ত ‘টেক ইট ডাউন অ্যাক্ট’ নামের বিলটি সিনেটর টেড ক্রুজ এবং অ্যামি ক্লোবুচার-এর সমর্থন নিয়ে সিনেটে পাস হয়েছে।
মেলানিয়া ট্রাম্পের এই বিলের প্রতি সমর্থন এটিকে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউসে পাস করাতে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে সহায়তা করতে পারে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে, কোনো ব্যক্তি বা গ্রুপের অনুমতি ছাড়া অনলাইনে কারো ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা একটি ফেডারেল অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
বিল অনুযায়ী, কোনো ভুক্তভোগীর অনুরোধের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও সরিয়ে ফেলতে হবে এবং সেগুলোর অনুলিপিও মুছে ফেলতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা-ও এই বিলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
আগের ট্রাম্প প্রশাসনের সময়, মেলানিয়া ট্রাম্প ‘বি বেস্ট’ নামে একটি যুব বিষয়ক কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, যেখানে অনলাইন নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
তিনি জানিয়েছেন, এই প্রোগ্রামটি তিনি আবার শুরু করতে আগ্রহী।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস