**ডিট্রয়েটে কুকুরকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত নয় কেউ, তীব্র প্রতিবাদ**
যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি কুকুরের উপর চরম নিষ্ঠুরতার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, একটি পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে কয়েক মাস বয়সী একটি কুকুরকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়া হয়।
গুরুতরভাবে আহত কুকুরটির চিকিৎসার পরেও, পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকার কারণে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কারো বিরুদ্ধেই কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষজন তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২১শে জানুয়ারি। ডেট্রয়েটের একটি বাড়িতে মা ও ১৯ বছর বয়সী মেয়ের মধ্যে ঝগড়ার সূত্রপাত হয়। পরে, মায়ের অনুপস্থিতিতে, জ্যাক রাসেল জাতের প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস বয়সী ‘গিডিয়ন’ নামের কুকুরটিকে মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কুকুরটির শরীরে গভীর ক্ষত ছিল। স্থানীয় পশুচিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, কুকুরটিকে গরম পানিতে ফেলা হয়েছিল।
এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ওয়েন কাউন্টি প্রসিকিউটর, কাইম ওয়ার্থি, জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে থাকা ১৯ বছর বয়সী মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের মতো যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রসিকিউটর আরও জানান, কুকুরটিকে পানিতে ফেলার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী তেমন কেউ ছিল না। এমনকি ঘটনার সময় বাড়িতে উপস্থিত থাকা ১৩ বছর বয়সী অন্য মেয়েটির কাছ থেকে ঘটনার সঠিক বিবরণ পাওয়া যায়নি।
কুকুরটির চিকিৎসার জন্য ডেট্রয়েট অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার গ্রুপ (ডিএডব্লিউজি) এগিয়ে আসে। তারা আহত গিডিয়নের চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহ করে এবং নিয়মিতভাবে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে আপডেট দিতে থাকে।
ডিএডব্লিউজি জানায়, তারা এই ঘটনার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
এদিকে, প্রসিকিউটর কাইম ওয়ার্থি এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদিও অনেকেই এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন, তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দোষী প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
তিনি আরও জানান, “আমরা বুঝি যে অনেকেই আমাদের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হবেন। কিন্তু যা সঠিক, তাই করতে হবে। আমাদের এমন কাউকে অভিযুক্ত করতে হবে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব।”
এই ঘটনার পর, স্থানীয় বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
পশুপ্রেমী এবং সমাজের সচেতন নাগরিকরা এই ধরনের পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল