একটি পরিবারের গল্প: মেয়ের আবদার, বিশাল কুকুরের কারণে বাবা-মায়ের আপত্তি।
সম্প্রতি এক পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছে, যখন তাদের একুশ বছর বয়সী মেয়ে তার পিতামাতার কাছে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে। মেয়েটি তার সঙ্গীকে ছেড়ে আসার পর তাদের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল, কিন্তু একটি অপ্রত্যাশিত কারণের জন্য এই ইচ্ছায় বাধা সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি হলো, মেয়েটি তার সাথে একটি বিশাল আকারের কুকুর, একটি গ্রেট ডেন-কে নিয়ে আসতে চেয়েছিল।
পিতা-মাতা প্রথমে তাদের মেয়ের এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন। কিন্তু যখন তারা জানতে পারেন যে তাদের মেয়ে তার পোষা কুকুরটিকেও সাথে আনতে চায়, তখন তারা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
তাদের ছোট আকারের বাড়ি, দুটি বিড়াল এবং সীমিত ধৈর্য্যের কথা বিবেচনা করে তারা এই বিষয়ে আপত্তি জানান। তারা তাদের মেয়ের অতীতের কথা স্মরণ করে, যখন কুকুরটি আসবাবপত্র চিবিয়ে নষ্ট করত, জিনিসপত্র ফেলে দিত এবং বিড়ালদের ভয় দেখাতো।
পিতামাতা তাদের মেয়েকে জানান যে, সে কুকুরটিকে ছাড়া তাদের সাথে থাকতে পারে। এমনকি তারা একটি স্বল্পমেয়াদী, পোষ্য-বান্ধব ভাড়াও দিতে রাজি ছিলেন, যতক্ষণ না মেয়েটি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
কিন্তু মেয়েটি তাদের এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সে অভিযোগ করে যে, তার বাবা-মা “আসলে তার চেয়ে আসবাবপত্রের মূল্য বেশি দেন”।
বর্তমানে, মেয়েটি তার এক বন্ধুর সাথে থাকছে এবং তার বাবা-মায়ের ফোন ধরছে না। এই ঘটনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জড়িয়ে পড়েছেন।
মেয়ের পিসি (মাসি) মনে করেন যে, বাবা-মা হৃদয়হীন আচরণ করছেন এবং “কখনও কখনও ছেলেমেয়েরা তাদের সমস্যার বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরে”।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও আলোচনা চলছে। অধিকাংশ মন্তব্যকারী এই বিষয়ে একমত যে, মেয়েটি এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাকে তার নিজের সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হবে।
কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে, মেয়েটি যদি কুকুরটিকে বেশি ভালোবাসে, তবে পিসি-কে তার এবং কুকুরটির দেখাশোনা করতে বলা উচিত।
এই ঘটনাটি পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা এবং মানুষের ভিন্ন ভিন্ন অগ্রাধিকারের বিষয়টি তুলে ধরে। বিশেষ করে, বাংলাদেশে যেখানে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে একজন সদস্যের এমন আচরণ হতাশাজনক হতে পারে।
তবে, এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রত্যেকেরই নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে এবং কখনও কখনও তাদের সেই পছন্দকে সম্মান জানানো উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল