শিরোনাম: “ড্রাইভিং শিখতে নারাজ, মায়ের ট্যাক্সি সার্ভিসেই অভ্যস্ত: হতাশায় এক ব্রিটিশ মা”
ব্রিটিশ সমাজে সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও ড্রাইভিং না শেখা এবং বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল থাকার বিষয়টি বেশ উদ্বেগের কারণ। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের একজন মা তার দুই সন্তানের ড্রাইভিং না শেখা এবং তার ওপর পরিবহনের জন্য নির্ভরশীলতা নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন।
সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে তিনি কতটা প্রস্তুত করতে পেরেছেন, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ঘটনাটি জানা যায় যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরাম, ‘মামসনেট’-এ মায়ের করা একটি পোস্টের মাধ্যমে।
ওই পোস্টে তিনি জানান, তার দুই সন্তানই এখন “বিশ থেকে পঁচিশ” বছর বয়সী। তাদের কেউই গাড়ি চালাতে জানে না।
মা জানান, সন্তানদের ড্রাইভিং শেখানোর জন্য তিনি একাধিকবার চেষ্টা করেছেন।
তিনি তাদের ড্রাইভিং শেখার খরচ দিতে চেয়েছেন, এমনকি গাড়ি কিনে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
কিন্তু তার সন্তানেরা নাকি বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করে এবং বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
ওই মা আরও জানান, সন্তানদের এই আচরণের কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।
তিনি তাদের ড্রাইভিং শেখানোর জন্য চাপ দিতে চাচ্ছেন, কিন্তু এতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তিনি মনে করেন, সন্তানদের এই নির্ভরশীলতা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য ভালো নয়।
তিনি তাদের ‘ট্যাক্সি সার্ভিস’ দেওয়া বন্ধ করতে চাচ্ছেন, যাতে তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে শিখে।
ওই মায়ের এই পোস্টের পর, ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
তাদের অধিকাংশই মা’কে সন্তানদের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করতে বলেছেন এবং তাদের আর গাড়ি করে আনা-নেওয়া করতে নিষেধ করেছেন।
তাদের মতে, এখন তারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের নিজেদের কাজগুলো নিজেরাই করা উচিত।
অনেকে আবার বলেছেন, আজকের দিনে ড্রাইভিং একটি আবশ্যকীয় দক্ষতা নাও হতে পারে।
তবে, তারা এটাও মনে করেন যে সন্তানদের সবকিছুর জন্য মায়ের উপর নির্ভরশীল থাকাটা ঠিক নয়।
তাদের মতে, সন্তানদের নিজেদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত এবং তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
তবে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি ভিন্ন।
আমাদের দেশে সাধারণত সন্তানেরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে এবং তাদের উপর বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভরশীলতা বজায় রাখে।
পশ্চিমা বিশ্বের তুলনায় এখানে পারিবারিক বন্ধন অনেক গভীর এবং সন্তানেরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে সবসময় সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
এই সংস্কৃতিতে, সন্তানদের ড্রাইভিং না শেখা এবং পরিবহনের জন্য বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল হওয়াটা হয়তো তেমন উদ্বেগের বিষয় নয়।
তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে, বাড়ছে ব্যস্ততা।
তাই, সন্তানদের স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করা এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: Mumsnet.com