আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশ্বে প্রায়ই নতুন নতুন ধারা সৃষ্টি হয়, যা সারা বিশ্বের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
পোশাকের ধরন থেকে শুরু করে সাজসজ্জা, ফ্যাশন একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা সংস্কৃতি, রুচি এবং সময়ের পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি।
সম্প্রতি, অস্কারের মত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তারকাদের পোশাকে এক ভিন্ন ধরণের প্রবণতা দেখা গেছে, যা ‘নগ্ন ফ্যাশন’ নামে পরিচিত।
লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত অস্কারের মূল অনুষ্ঠানের পর আয়োজিত বিভিন্ন পার্টিতে, বিশেষ করে ভ্যানিটি ফেয়ার পার্টিতে এই ‘নগ্ন ফ্যাশন’-এর ঝলক দেখা যায়।
এই অনুষ্ঠানে অনেক তারকাই খোলামেলা পোশাকে হাজির হয়েছিলেন, যা ফ্যাশন সমালোচকদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অভিনেত্রী ও পরিচালক অলিভিয়া ওয়াইল্ডের কথা ধরা যাক।
তিনি পরেছিলেন স্বচ্ছ লেইসের তৈরি একটি পোশাক, যা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এছাড়াও, অভিনেত্রী জুলিয়া ফক্সকেও দেখা গেছে প্রায় স্বচ্ছ একটি পোশাকে।
এই ধরনের পোশাকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এতে শরীরের কিছু অংশ দেখা যায়।
কেউ কেউ হয়তো একে ফ্যাশনের নামে শরীর প্রদর্শন বলছেন, আবার কারো মতে এটি পশ্চিমা ফ্যাশনের একটি অংশ।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের পোশাকের চল নতুন নয়।
বরং বেশ কয়েক বছর ধরেই এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ ম্যাডেলিন হিরশ-এর মতে, এই ধরনের পোশাক সাধারণত তারকাদের রেড কার্পেট প্রদর্শনে বেশি দেখা যায়।
কারণ, পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের তুলনায় এইসব পার্টিগুলোতে পোশাকের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বাধীনতা থাকে।
যেখানে তারকারা তাদের ভিন্ন এবং সাহসী ফ্যাশন পরীক্ষা করতে পারেন।
তবে, এই ‘নগ্ন ফ্যাশন’-এর ধারণা বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং পোশাকের ধারণার সঙ্গে সরাসরি মেলে না।
বাংলাদেশের পোশাক সংস্কৃতিতে শালীনতা ও রুচির একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।
শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি- এইসব পোশাক আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পশ্চিমা ফ্যাশনের এই ধারা, আমাদের দেশের মানুষের কাছে সব সময় গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।
ফ্যাশন একটি বহমান প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও রুচির মিশ্রণ ঘটে।
আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশ্বে, এই ধরনের সাহসী পোশাকের চল দেখা গেলেও, প্রতিটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস