মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমবাজারের পরিস্থিতি বেশ স্থিতিশীল দেখা যাচ্ছে, যদিও আসন্ন সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের একটি আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বেকারত্বের সুবিধার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা কমেছে, যা কর্মসংস্থান বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। তবে, সরকারি পর্যায়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর জানিয়েছে, ১লা মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে নতুন করে বেকারত্বের সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন ২ লক্ষ ২১ হাজার মানুষ।
এই সংখ্যা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ২১ হাজার কম। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ছিল এই সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৬ হাজারের কাছাকাছি থাকবে।
সাধারণত, বেকারত্বের সুবিধার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যাকে ছাঁটাইয়ের একটি সূচক হিসেবে ধরা হয়। এই সংখ্যা গত কয়েক বছর ধরেই ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
অন্যদিকে, সরকারের কর্মসংস্থান বিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, তারা ফেডারেল সরকারের কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছে।
এর অংশ হিসেবে, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা বা আইআরএস (IRS) তাদের ৯০ হাজার কর্মীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি কর্মী ছাঁটাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে জানা গেছে, কর্মীদের পদত্যাগ, অবসর এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কর্মীদের স্বেচ্ছায় চলে যেতে উৎসাহিত করা হবে।
ইতিমধ্যেই, প্রায় ৭ হাজার শিক্ষানবিশ পর্যায়ের কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তবে, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এখনও পর্যন্ত বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
জানুয়ারী মাসে নতুন করে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যদিও ডিসেম্বরের তুলনায় এই সংখ্যা কিছুটা কম।
জানুয়ারিতে বেকারত্বের হার ছিল ৪ শতাংশ, যা শ্রমবাজারের ভালো অবস্থার প্রমাণ।
যদিও সামগ্রিকভাবে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু কিছু বড় কোম্পানি তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে।
চলতি বছর কর্মী ছাঁটাই করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়ার্কডে, ডাও, সিএনএন, স্টারবাকস, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স এবং মেটা (ফেসবুকের মূল কোম্পানি)।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য কিছু প্রভাব ফেলতে পারে।
যেমন, বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে পরিবর্তন আসতে পারে।
এছাড়াও, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
তবে, এখনই এর সুনির্দিষ্ট প্রভাব বলা কঠিন।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস