প্রিমিয়ার লিগ: মাঠের লড়াই আর উত্তেজনার ১০ মুহূর্ত
ফুটবল ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশেও কম নয়। সারা বিশ্বের মতো এখানকার ফুটবল প্রেমীদেরও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু থাকে প্রিমিয়ার লিগ। সম্প্রতি হওয়া কয়েকটি ম্যাচের দিকে নজর রাখলে দেখা যায়, মাঠের লড়াইয়ে ছিল উত্তেজনা, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ছিল ভিন্নতা। নিচে তুলে ধরা হলো তেমনই কিছু আলোচনার বিষয়:
১. রক্ষণাত্মক কৌশলে অ্যামোরিম:
কিছু দর্শক মনে করেন, রুবেন অ্যামোরিম এবং অ্যাঞ্জ পস্টেকোগলু’র মধ্যে কৌশলগত দিক থেকে মিল রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য বিদ্যমান। টটেনহ্যামের খেলা সম্পর্কে আগে থেকে কিছু বলা যায় না। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলার ধরন সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। প্রথম অর্ধে তাদের খেলা থাকে নিস্তেজ, দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা লড়াই দেখা যায়। দুর্বল দলগুলোর বিপক্ষে তারা প্রায়ই খারাপ ফল করে, তবে ভালো দলগুলোর সঙ্গে তাদের পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো থাকে।
২. সনের ফর্মে ফেরার সম্ভাবনা:
একজন খেলোয়াড়ের ফর্ম যখন পড়তে শুরু করে, তখন তা অনেক সময় স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই অবনমন ধীরে ধীরে হয়। সন হিউং-মিনের এই মৌসুমটা ভালো কাটছে না। বয়সও তার ৩২ ছুঁই ছুঁই। তবে তাকে হয়তো খুব দ্রুতই আলোচনা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও দুই সপ্তাহ আগে ইপসউইচের বিপক্ষে তিনি ভালো খেলেছেন, এবং বোর্নমাউথের বিরুদ্ধেও দ্বিতীয়ার্ধে তার খেলা চোখে পড়ার মতো ছিল।
৩. শীর্ষ দলগুলোর দুর্বল সূচনা:
লিভারপুলের বিপক্ষে সাউদাম্পটনের খেলার ধরনে হতাশ হয়েছিলেন কোচ আর্নে স্লট। তিনি মনে করেন, চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে খেলোয়াড়দের আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।
৪. ম্যানচেস্টার সিটির দলে পরিবর্তন:
ম্যানচেস্টার সিটির কিছু খেলোয়াড়ের বয়স বাড়ার কারণে তাদের দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কেভিন ডি ব্রুইন, যিনি এখন ৩৩ বছর বয়সী, এবং ৩য় বছর বয়সী ইлкаয় গুন্ডোগান তাদের সেরা ছন্দে নেই। এছাড়া, ইনজুরি এবং ফর্মের কারণে জন স্টোনস, নাথান আকে, মাতেও কোভাচিচ, বার্নার্ডো সিলভা এবং জ্যাক গ্রিলিশের মতো খেলোয়াড়দেরও দলে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
৫. চেলসির হয়ে কুকুরেলার দারুণ পারফর্মেন্স:
চেলসির হয়ে মার্ক কুকুরেলার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দলের আক্রমণভাগে দারুণ খেলছেন এবং এরই মধ্যে ৫টি গোল করেছেন। কোচ এনজো মারেস্কা মনে করেন, কুকুরেলার মধ্যে এমন কিছু গুণ আছে, যা সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
৬. আর্সেনালের আক্রমণভাগে দুর্বলতা:
গত মৌসুমে আর্সেনাল লিগ শিরোপার খুব কাছে গিয়েছিল, কিন্তু এবার তারা সেই সুযোগ হারিয়েছে। এর প্রধান কারণ ছিল তাদের আক্রমণভাগের দুর্বলতা।
৭. ওয়াটকিন্সের জ্বলে ওঠা:
অ্যাস্টন ভিলার হয়ে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে গোল করে আবারও আলোচনায় এসেছেন অলি ওয়াটকিন্স।
৮. পেনাল্টিতে জোয়াও পেদ্রোর দক্ষতা:
ব্রাইটন ও ফুলহামের মধ্যকার খেলায় শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জোয়াও পেদ্রো।
৯. আন্দেরের দারুণ পারফর্মেন্স:
ওলভারহ্যাম্পটনের মিডফিল্ডার আন্দের মাঝমাঠের খেলায় বেশ ভালো করছেন। তার খেলার ধরন এবং বল দখলের ক্ষমতা সবার নজর কেড়েছে।
১০. সাররের ঝলমলে পারফরম্যান্স:
ক্রিস্টাল প্যালেস তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জাঁ-ফিলিপে মাত্তার অনুপস্থিতিতেও জয় ধরে রেখেছে। এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ইসমাইলা সারর।
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিল:
দল ম্যাচ গোল পার্থক্য পয়েন্ট
১. লিভারপুল ২৯ ৪২ ৭০
২. আর্সেনাল ২৮ ২৮ ৫৫
৩. নটিংহ্যাম ফরেস্ট ২৮ ১২ ৫১
৪. চেলসি ২৮ ১৭ ৪৯
৫. ম্যান সিটি ২৮ ১৫ ৪৭
৬. ব্রাইটন ২৮ ৬ ৪৬
———————————
১৭. উলভারহ্যাম্পটন ২৮ -১৯ ২৩
১৮. ইপসউইচ ২৮ -৩২ ১৭
১৯. লেস্টার ২৮ -৩৭ ১৭
২০. সাউদাম্পটন ২৮ -৪৮ ৯
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।