মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা করেছেন যে, দেশটির আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র (USAID) কার্যক্রমের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের চালানো ব্যাপক কাটছাঁটের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, সংস্থাটির ৮৩ শতাংশ প্রকল্পের কার্যক্রম ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
খবর সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ইউএসএআইডি’র ৬,২০০টির মধ্যে ৫,২০০টির বেশি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
তাঁর মতে, এসব প্রকল্পের মাধ্যমে “যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী” বা “ক্ষতিকর” উপায়ে হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করা হয়েছে।
২০শে জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তার অর্থ বিতরণ স্থগিত করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিদেশে পরিচালিত কয়েক বিলিয়ন ডলারের উন্নয়নমূলক কাজের পর্যালোচনা শুরু হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করে যে, বৈদেশিক সহায়তার অধিকাংশ অর্থ অপচয় হয় এবং উদারনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী রুবিও জানিয়েছেন, বর্তমানে অবশিষ্ট ১৮ শতাংশ কার্যক্রম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তবে ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা ও অন্যান্যরা এই পদক্ষেপকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন।
তাঁদের মতে, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি (USAID) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কাজে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে এই সংস্থাটি কাজ করে।
এই সাহায্য প্রদানের ফলে অনেক দেশ উপকৃত হয় এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা পাওয়া যায়।
বর্তমানে ইউএসএআইডি’র কার্যক্রম কমানোর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউএসএআইডি’র অনেক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের অনেকে এখন বেকার।
কিছু অলাভজনক সংস্থা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে।
তাঁদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের কারণে এমনকি যে সমস্ত প্রকল্প চালু রাখার কথা ছিল, সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
বর্তমানে, অনেক ইউএসএআইডি কর্মী ও ঠিকাদার এখনো বিদেশে আটকা পড়ে আছেন এবং তাঁরা তাঁদের বকেয়া বেতন ও দেশে ফেরার খরচের জন্য অপেক্ষা করছেন।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস