জার্মান বুন্দেসলিগা: বায়ার্নের ছন্দপতন, লেভারকুসেনের হতাশাজনক হার
জার্মান ফুটবলে যেনো চলছে উত্থান- পতনের খেলা। বায়ার্ন মিউনিখ এবং বায়ার লেভারকুসেনের মতো হেভিওয়েট দলগুলো ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে লড়ছে, তবে মাঠের পারফরম্যান্সে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। একদিকে বায়ার্ন মিউনিখের অপ্রত্যাশিত পরাজয়, অন্যদিকে লেভারকুসেনের টানা হারে শিরোপা দৌড় আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারের পর বায়ার লেভারকুসেনের খেলোয়াড়দের মধ্যে হতাশা ছিল চোখে পড়ার মতো। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফ্লোরিয়ান উইর্টজ এবং জেরেমি ফ্রিমপংয়ের মুখচ্ছবিতে সেই হতাশার ছাপ স্পষ্ট ছিল। যেনো তারা পথ খুঁজে পাচ্ছিলো না। ঘরোয়া এবং ইউরোপীয় ফুটবলে এই মুহূর্তে লেভারকুসেনের এমন পারফরম্যান্স সত্যিই অপ্রত্যাশিত।
অন্যদিকে, বায়ার্ন মিউনিখও যেনো তাদের চিরাচরিত ছন্দে নেই। ঘরের মাঠে বোখুমের কাছে অপ্রত্যাশিত পরাজয় তাদের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে। বায়ার্নের এমন দুর্বলতার সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে লেভারকুসেন। যদিও বায়ার্ন এখনো লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, তবে তাদের এই ছন্দপতন শিরোপা জয়ের দৌড়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, এই মুহূর্তে জার্মানির ফুটবলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মেইনজ। বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে তাদের জয় এবং ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ইউনিয়নের অপ্রত্যাশিত জয় তাদের লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে নিয়ে এসেছে। তাদের মিডফিল্ডার নাডিম আমিরি দারুণ ফর্মে রয়েছেন।
অন্যদিকে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। নতুন জার্সি উন্মোচন করেও তারা নিজেদের পুরনো ছন্দ ফিরে পায়নি। লিগের শীর্ষ চারে তাদের জায়গা করে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আরবি লাইপজিগও ভালো খেলছে, তবে তাদের আক্রমণভাগে আরো উন্নতি করতে হবে।
বুন্দেসলিগার এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে, ফুটবলে উত্থান-পতন খুবই স্বাভাবিক। প্রতিটি দলকেই নিজেদের সেরাটা দিতে হয়, এবং সামান্য ভুলের কারণেও অনেক সময় হারের সম্মুখীন হতে হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান