যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে যুদ্ধের ১,১১১তম দিনেও চলছে ধ্বংসযজ্ঞ।
১১ই মার্চ মঙ্গলবার বিভিন্ন ফ্রন্টে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে, যেখানে হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ান বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে তাদের আক্রমণ আরও জোরদার করেছে।
বিশেষ করে, খারকিভ এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও সামরিক ও আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই এখন জরুরি।”
পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, তবে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা এখনো অনেক বেশি থাকায় কিয়েভকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও সক্রিয় রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধ বন্ধের জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং মানবিক করিডোর তৈরি করে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (ICRC) যুদ্ধাহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের সাহায্য করে যাচ্ছে।
এই যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে, বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর নেতিবাচক প্রভাব আরও বেশি, যেখানে খাদ্য সংকট একটি গুরুতর সমস্যা।
বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রিতা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনা করে, অনেক দেশ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেছে।
এর ফলে রাশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, রাশিয়াও তাদের সামরিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উপর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা