1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 28, 2025 4:16 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
শিশুদের মনে আঘাত হানে ‘এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’? বিস্ফোরক মন্তব্য সিনথিয়া ওজিকের! হোয়াইট লোটাস: কমে যাচ্ছে আকর্ষণ? নতুন সিজনে হতাশ দর্শক? ছেলেবেলার স্মৃতি: কঠিন গেম ‘নিনজা টার্টলস’ আবারও! ১৭টি চাকরি! টেসলার ভবিষ্যৎ নিয়ে কি ভাবছেন মাস্ক? আতঙ্কে দেশ! কেন্ডির সিদ্ধান্তে কি বন্ধ হবে মাদক নিরাময় কেন্দ্র? ভ্রমণের অত্যাবশ্যকীয় ১৫টি জিনিস যা বসন্তে অচল! -বিকল্প কি? গোপন রাখতে ট্রাম্পের কৌশল! বিতর্কের কেন্দ্রে উদ্বাস্তু বিতাড়ন বিষয়ক তথ্য আতঙ্কে শিক্ষকরা! দেশ ছাড়ছেন ইয়েল-এর অধ্যাপক, কানাডায় কেন? শুরুটা উপর থেকে: ইসরায়েলি তরুণদের মনে গেঁথে যাওয়া চরমপন্থী ধারণা! মার্কিনদের চোখে জল! কেন বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম?

আলো ঝলমলে মহাকাশে নাসা-র নতুন দিগন্ত, কোটি কোটি গ্যালাক্সির ছবি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, March 12, 2025,

মহাকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে নাসা (NASA)-র অত্যাধুনিক স্পেস টেলিস্কোপ ‘স্ফিয়ারএক্স’ (Spherex) উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া থেকে স্পেসএক্স (SpaceX)-এর ফ্যালকন রকেটে করে এটি মহাকাশে পাড়ি জমায়।

এই টেলিস্কোপটি মহাকাশের গভীরে থাকা কোটি কোটি গ্যালাক্সি এবং সময়ের শুরু থেকে তাদের আলো কিভাবে বিকিরণ হয়েছে, তার একটি বিস্তারিত চিত্র তৈরি করবে।

৪8৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৫,১০০ কোটি টাকার বেশি) খরচ করে তৈরি এই ‘স্ফিয়ারএক্স’ টেলিস্কোপের প্রধান লক্ষ্য হল গ্যালাক্সিগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছিল এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের বিবর্তন কীভাবে ঘটেছে, তা অনুসন্ধান করা।

এছাড়াও, মহাবিশ্বের শুরুতে এর দ্রুত প্রসারণের কারণগুলোও খুঁজে বের করা হবে।

আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে, এটি নক্ষত্রদের মাঝে জমে থাকা বরফের মেঘে জলের সন্ধান করবে, যেখানে নতুন সৌরজগতের সৃষ্টি হয়।

এই অনুসন্ধানী প্রকল্পটি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এর মাধ্যমে, বিজ্ঞানীরা শুধু গ্যালাক্সিগুলোর গঠন ও বিবর্তন সম্পর্কেই জানতে পারবেন না, বরং মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য উন্মোচনেও এটি সহায়তা করবে।

‘স্ফিয়ারএক্স’-এর ডিজাইন করা হয়েছে বিশেষভাবে।

এর ওজন প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম, যা একটি মাঝারি আকারের সিএনজি অটোরিকশার ওজনের সমান।

এটি ৬ মাসের মধ্যে তার ইনফ্রারেড (Infrared) চোখের মাধ্যমে পুরো আকাশ পর্যবেক্ষণ করবে।

এই সময়ের মধ্যে, এটি সম্পূর্ণ আকাশের চারটি বিস্তারিত চিত্র তৈরি করবে।

টেলিস্কোপটি পৃথিবীর মেরু অঞ্চল দিয়ে ৬৫০ কিলোমিটার (৪০০ মাইল) উপরে প্রদক্ষিণ করবে।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই টেলিস্কোপ হাবল বা জেমস ওয়েব-এর মতো বিস্তারিত ছবি নাও দিতে পারে, তবে এটি গ্যালাক্সিগুলোর সামগ্রিক আলো পর্যবেক্ষণ করবে।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রধান বিজ্ঞানী জেমি বক বলেন, “এই কসমোলজিক্যাল আলো মহাজাগতিক ইতিহাসের সমস্ত আলো ধারণ করে।

এটি মহাবিশ্বকে দেখার একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি।”

এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা অতীতের অজানা অনেক আলোর উৎস খুঁজে বের করতে পারবেন।

এই টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড ডিটেক্টরগুলো মানুষের চোখে দৃশ্যমান নয় এমন ১০২টি ভিন্ন রং সনাক্ত করতে পারবে, যা মহাকাশের সবচেয়ে বিস্তারিত মানচিত্র তৈরিতে সহায়তা করবে।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার বেথ ফাবিনস্কি বলেন, “এটা অনেকটা রংধনুর চশমা পরে মহাবিশ্ব দেখার মতো।”

‘স্ফিয়ারএক্স’-এর ইনফ্রারেড ডিটেক্টরগুলোকে -২১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এর নিচে ঠান্ডা রাখার জন্য এর নকশায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সূর্যের তাপ এবং পৃথিবীর তাপ থেকে বাঁচানোর জন্য, এর চারপাশে তিনটি অ্যালুমিনিয়াম-মধুচক্রের স্তর বসানো হয়েছে।

উৎক্ষেপণের সময়, স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেট একই সাথে নাসার আরও চারটি স্যাটেলাইট ‘পাঞ্চ’ (PUNCH)-কে মহাকাশে নিয়ে যায়।

এই স্যাটেলাইটগুলো সূর্যের বাইরের স্তর বা করোনা এবং সৌর বায়ু পর্যবেক্ষণ করবে।

প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে এই উৎক্ষেপণটি দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT